Site icon Jamuna Television

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক বন্ধের প্রভাব দেশের আর্থিক খাতে পড়বে না: বাংলাদেশ ব্যাংক

আর্থিক সংকটে পড়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক বন্ধের প্রভাব বাংলাদেশের আর্থিক খাতের ওপর পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বাংলাদেশি কোনো ব্যাংকের বিনিয়োগ নেই। এটি আইন করেই বন্ধ করা হয়েছে। আর্থিক খাতে প্রভাব না পড়লেও এ ঘটনা থেকে শেখার আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে আগ্রাসী বিনিয়োগ বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

তারল্য সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। ভালো ব্যাংক হিসেবে পরিচিত দেশটির জনগণের কাছে। সিলিকন ভ্যালি বন্ধের কয়েকদিনের মধ্যেই বন্ধে হয়ে যায় সিগনেচার ও সিলভারগ্যাট ব্যাংক। সংকটের মুখে আরও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, আপনারা জানেন ক্রিপটো কারেন্সি একটি ভার্চুয়াল কারেন্সি। এর পেছনে কোনো অ্যাসেট নেই। তাই আমরা আইন করেই এটি নিষিদ্ধ করে রেখেছি। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর একটা বড় হোল্ডিং কিন্তু
ট্রেজারি বিল বন্ড। বন্ডে তারা অনেক বেশি লস করেছে। সেই জায়গা থেকে মূলত সঙ্কট শুরু। অতএব যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা আমাদের জন্য প্রযোজ্য না।

মার্কিন ব্যাংক বন্ধের প্রভাব আর্থিক খাতে না পড়লেও আমানতকারীদের মধ্যে পড়তে পারে বলে মনে করেন ব্যাংকাররা। তাই তাদের আশ্বস্ত করতে কাজ করা দরকার। সময়ের প্রয়োজনে মার্জার এবং অধিগ্রহণ আইন সামনে নিয়ে আসার কথাও বলেন বিশ্লেষকরা।

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনা আমাদের ফাইন্যানশিয়াল অ্যাকাউন্টের ওপর একটা চাপ ফেলতে পারে। কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে আমাদের ব্যাংকের ব্যালেন্স শিটে প্রভাব ফেলার মতো এখনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমাদের যে রক্তক্ষরণ সেটা হচ্ছে অন্য কারণে। সেটা আমাদেরই বন্ধ করতে হবে।

দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশেও এমন অনেক ব্যাংক আছে যারা রিস্কি আগ্রাসী ব্যাংকিং করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয়।

ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমানো এবং যোগসাজসে ব্যাংকিং খাত থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া বন্ধে উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

এটিএম/

Exit mobile version