Site icon Jamuna Television

চট্টগ্রামে মূল্যবৃদ্ধির জেরে খাদ্যপণ্য কেনা কমিয়েছে মানুষ, অর্ধেকে নেমেছে বেচাবিক্রিও

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে পুষ্টি ঘাটতিতে ভুগছে নিম্ন আয়ের মানুষ। অর্থ সাশ্রয়ে চাহিদার তুলনায় কম পণ্য কিনছেন তারা। ফলে চট্টগ্রামের বাজারে এবং দোকানেও নিত্যপণ্য বেচাকেনার পরিমাণ দিন দিন কমছে। পুষ্টি ঘাটতি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুষ্টির চাহিদা পূরণে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের অন্যতম নির্ভরতার নাম ডিম। কিন্তু দাম বাড়তে বাড়তে প্রতি পিসের দাম এখন ১৩ টাকা। মাছ এবং মুরগীর মাংসের উপরও ভরসা করতেন অনেকে। কিন্তু এ দুটি পণ্যের দামও বেশ কিছুদিন ধরে চড়া। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগের চেয়ে বিক্রি কয়েকগুণ কমেছে বলে জানান চট্টগ্রামের বিক্রেতারা। তারা বলছেন, দাম বাড়ার কারণে অর্ধেকে নেমেছে বিক্রি। মানুষ এখন দাম শুনেই চলে যাচ্ছে বলেও জানান তারা। প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনতে হচ্ছে বলে পুষ্টির চাহিদা পূরণ নিয়েও সংশয়ে সাধারণ মানুষ।

পুষ্টিকর খাবারের দাম বাড়ায়ে সবচেয়ে বিপাকে নিম্ন মধ্যবিত্তরা। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এটি উদ্বেগের বিষয়। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টিবিদ ইকবাল হোসেন বলেন, প্রোটিনের চাহিদায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্তদের। তবে এই ঘাটতির বিষয়টি তারা বুঝবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর।

এমন পরিস্থিতির জন্য বাজার তদারকির অভাবকে দুষছে ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলো। ক্যাবের সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, কোনো ব্যবসায়ী যাতে কারসাজি করতে না পারে, মজুতকরণ করতে না পারে সে জন্য মনিটরিং জোরদার করার বিকল্প নেই।

তবে কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ পরিচালক ফয়জুল্লাহ বলেন, রমজানের সময় হোক, আগে বা পরে অনৈতিকভাবে যদি কেউ বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসজেড/

Exit mobile version