Site icon Jamuna Television

জন্মদিনে ক্যান্সার ফাউন্ডেশন উদ্বোধন করলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

রঞ্জন শান্ত:

মরণব্যাধি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের নতুন উদ্যোগ ‘সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন’। ক্যান্সারের কারণেই সাকিব হারিয়েছেন সতীর্থসহ নিজের আপনজন। তবে এই মরণব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াইটা চালিয়ে যেতে চান সাকিব। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও প্রশংসা করলেন সাকিবের এই মহৎ উদ্যোগের।

‘ক্যান্সার অনেক দরজা খুলে দেয় যার মধ্যে অন্যতম আপনার হৃদয়’ -উক্তিটি ক্যান্সার জয়ী গ্রেগ অ্যান্ডারসনের। মাঠের ক্রিকেট দিয়ে কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করা সাকিব আল হাসানের মনের দরজাটাও হয়তো ক্যান্সার খুলে দিয়েছে। নিজের ৩৬ তম জন্মদিনে তিনি উদ্বোধন করলেন ‘সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন’। শুক্রবার (২৪ মার্চ) ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এই অনুষ্ঠানে অনেকের আগেই উপস্থিত হন খোদ সাকিব। দাঁড়িয়ে থেকে আয়োজনের সব খোঁজখবর নিয়েছেন। নিজে গিয়ে নিয়ে আসলেন বিসিবি বসকে।

মাত্র ২৬ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান বিকেএসপির সাবেক ছাত্র জাফর সাদেক রাসেল। সেখান থেকেই এই ফাউন্ডেশনের চিন্তা মাথায় আসে সতীর্থদের। গেলো বছর ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেলও। তাদেরকে স্মরণ করেই অনুষ্ঠান শুরু করেন কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিবের জন্মদিনে তারই ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এই মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। তিনি বলেন, আমি মনে করি সাকিবের এই উদ্যোগটি মহৎ। যেকোনো সময় যা লাগবে, তাতে আমি কথা দিচ্ছি, আমাদের সমর্থন অবশ্যই থাকবে।

ফাউন্ডেশন নিয়ে সতীর্থদের বক্তব্যের পর সাকিব ওঠেন মঞ্চে। দুই বছরের ব্যবধানে মরণব্যাধি ক্যান্সারে নিজের শ্বশুর-শাশুড়িকে হারানোর সেই বেদনাময় স্মৃতি স্মরণ করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। শোনালেন স্ত্রী শিশিরের পাঠানো বার্তা। শিশির ভিডিওবার্তায় বলেন, যাদের সাহায্য প্রয়োজন, ক্যান্সার কী-এসব জানা প্রয়োজন; তাদের জন্যই কাজ করবে এই ফাউন্ডেশন। এখানে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত।

নিজের ক্যান্সার ফাউন্ডেশন নিয়ে সাকিবের স্বপ্নটা বড়। ব্যাট-বলে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে চালিয়ে যেতে চান আরও একটা লড়াই। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, এই মরণব্যাধির ভয়ে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। লড়াই করতে হবে। মানুষকে সাহস দিতে হবে, দেখাতে হবে আশা। যত ক্ষুদ্র পর্যায় থেকেই হোক না কেন, আমরা সবাই মিলে সেই কাজটা করতে চাই।

রিচি বেনো, যুবরাজ সিং, মাইকেল ক্লার্ক থেকে শুরু করে অনেক ক্রিকেটারই জয় করেছেন ক্যান্সার। গ্লেন ম্যাকগ্রা কিংবা এন্ড্রু স্ট্রাউসদের মতো সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য ক্যান্সার আক্রান্তদের মুখে হাসি ফোটানো।

/এম ই

Exit mobile version