Site icon Jamuna Television

পদ্মা সেতুতে বসলো রেললাইনের সর্বশেষ স্লিপার, কংক্রিটিং আজ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

সড়কপথের পর এবার পদ্মা সেতুর রেললাইনের কাজও সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে সেতুতে বসানো হয়েছে হয়েছে সর্বশেষ স্লিপার। এখন শুধু ৭ মিটার অংশের ঢালাই কাজ বাকি। ঢালাই কাজ শেষ হলে সম্পন্ন হবে ৬.৬৮ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ।

মঙ্গলবার রাত ১০টায় সেতুর মাঝামাঝি ৫ নম্বর মুভমেন্ট জয়েন্টে ইস্পাতের স্লিপারটি বসানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, স্লিপারটি চীন থেকে উড়োজাহাজে করে আনা হয় বাংলাদেশে। সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় স্লিপারটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার সেটি পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাইটে নিয়ে আসা হয়।

স্লিপারটি বসানোর পর ৭ মিটারের কংক্রিটিং হবে। সেটি শক্ত হতে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে। এরপরই ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে। এর আগে দ্রুত গতিতে ট্রেন চলার সময় মুভমেন্ট জয়েন্টের শেষ স্লিপারটি মিস ম্যাচের জন্য জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এখন তা নিরসন হয়েছে। বর্তমানে ৯৯ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকৌশলীরা জানান, ৬.১৫ কিলোমিটার মূল সেতু ও দু’পাশের ভায়াডাক্ট সেতু মিলিয়ে পদ্মা রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.৬৮ কিলোমিটার। রেলসেতুতে ৮টি মুভমেন্ট জয়েন্ট রয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো সর্ববৃহৎ রেলব্রিজ মুভমেন্ট জয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে পদ্মা রেল সেতুতে। দ্রুত গতিতে রেল চলার সময় এই মুভমেন্ট জয়েন্ট ৮০০ মিলিমিটার পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারবে। মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপিত হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের ৮টি স্লিপার ছাড়া বাকি সবগুলো কংক্রিটের তৈরি। এগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা পুরনো রেলস্টেশনের পাশে স্থাপিত কারখানায় তৈরি করেছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে বিশেষ তাপমাত্রায় মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের স্লিপারগুলো তৈরি করে আনা হয় চীন থেকে।

এদিকে রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেতুতে যানবাহন চালু রেখেই নিচতলায় পাথর বিহীন রেললাইন নির্মাণ। এখন তা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পথে রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্টের (সিএসসি) তত্ত্বাবধানে চলছে পদ্মা সেতুর এই রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ। পদ্মা সেতু ছাড়াও প্রকল্পের মোট ১৭২ কিলোমিটার লেভেল ক্রসিংবিহীন রেলপথে ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস এবং ১৩টি রেলসেতুর কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দুই পাশের স্টেশন নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এএআর/

Exit mobile version