Site icon Jamuna Television

এবার ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সীমান্তে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া

ইউক্রেনে পরমাণু হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া, পশ্চিমাদের এমন অভিযোগ ও হুঁশিয়ারিকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখালো রাশিয়া। কিছু দিন আগে পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে না দেয়ার ঘোষণা দিয়ে আগুনে আরও ঘি ঢালে ক্রেমলিন। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা শক্তিকে চাপে ফেলতে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সীমান্তে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করার কথা জানালো পুতিন প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।

বেলারুশ সীমান্তে এসব অস্ত্র নিযুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এনিয়ে বেলারুশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত জানান, ন্যাটো কিংবা ইইউ যতই কড়াকড়ি আরোপ করুক না কেন, নিজের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে রাশিয়া।

মূলত, বেলারুশে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণার পর থেকেই চলছিল নানামুখী বিতর্ক-সমালোচনা। দফায় দফায় সতকর্তা আর হুঁশিয়ারির পরও পিছু হটেনি মস্কো। পশ্চিমা চোখ রাঙানিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেলারুশের সীমান্ত এলাকায় ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর একেবারে কাছে এসব অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে রাশিয়া।

এ নিয়ে বেলারুশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ বলেন, আমরা জানি এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের তীব্র আপত্তি রয়েছে। তবে আমরা এসব আপত্তিকে পাত্তা দিচ্ছি না। কারণ রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে বেলারুশের পূর্ব সীমান্তে অস্ত্র মোতায়েন করা হবে।

মস্কো বলছে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের কাজ শেষ করা হবে। এ লক্ষ্যে তৈরি করা হবে বিশেষ ঘাঁটি। তবে কতটি স্থানে এসব মিসাইল ঘাঁটি তৈরি করা হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করেনি ক্রেমলিন।

বেলারুশের সাথে লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং পোল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে। এ দেশগুলো ন্যাটোর সদস্য। গত বছর ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর থেকে এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডে সেনা সংখ্যা অন্তত ১০ গুণ বাড়িয়েছে ন্যাটো। সামরিক জোটটির এ ধরনের পদক্ষেপকে হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে রাশিয়া।

এসজেড/

Exit mobile version