Site icon Jamuna Television

সড়ক সংস্কারের ৬ মাস না যেতেই আবারও বেহাল দশা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের উপর দিয়ে চলে যাওয়া চারটি মহাসড়ক সংস্কারের ৬ মাসের মধ্যেই আবারও পরিনত হয়েছে বেহাল দশায়। দেখা দিয়েছে ফাটল, সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দ। যার কারণে বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনা দেখা দিচ্ছে। এসব ভাঙা স্থানে পড়ে নষ্ট হচ্ছে যানবাহন, রাস্তা দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে মানুষের। তবে সড়কের ক্ষতির জন্য বৃষ্টিকেই দায়ী করলেন সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা।

জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহের রয়েছে মহাসড়কের চারটি রুট। ঝিনাইদহ-যশোর, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়ক দিয়ে দূর-পাল্লাসহ সকল যানবহন চলাচল করে থাকে। চলতি অর্থবছরের আঞ্চলিক সড়কসহ এ চারটি রুটের প্রায় ২১ কিলোমিটর রাস্তা ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়। এর মধ্যে সর্বশেষ গত মাসে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে সংস্কার করা হয়।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ঝিনাইদহ- চুয়াডাঙ্গা সড়কের হলিধানি, বৈডাঙ্গা, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বিষয়খালী, পাগলাকানাই, ছালাভরা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের আরাপপুর, ভাটই, গাড়াগঞ্জ, চড়িয়ারবিল, শেখপাড়া. ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কের পোড়াহাটিসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী হোসেন মোল্লা জানান, ঝিনাইদহকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বলা হয়ে থাকে। মোংলা নৌ-বন্দর ও বেনাপোল স্থল-বন্দরের অধিকাংশ মালামাল এ জেলার সড়ক দিয়েই উত্তরবঙ্গে আনা-নেওয়া করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এসব রুটে চলাচলকারী মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

পাগলাকানাই সড়কের বাসিন্দা ও জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম জানান, গত ৫ মাস পূর্বে রাস্তাগুলো আবার আগেই মতোই খানা খন্দে পরিনত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের এই রাস্তা সংস্কার করার নামে হরিলুট করা হচ্ছে। রাস্তা টিকছে না। কয়েকদিন পরেই যেই সেই অবস্থা হয়ে যাচ্ছে।

ট্রাক ড্রাইভার মকিম উদ্দীন জানান, ভাঙা রাস্তায় গাড়ী বের করা আর মরণ হাতে নিয়ে বের হওয়া একই কথা।

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তানভির আহমেদ বরাবরের মতো বৃষ্টিকেই সড়ক নষ্টের মূল কারণ হিসেবে দায়ি করছেন। এ দিকে বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দের সৃষ্টি যেসব স্থানে হয়েছে তা নতুন করে সংস্কারের ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন।

Exit mobile version