Site icon Jamuna Television

১০ বছরে যমুনা টেলিভিশন

৯ বছর পেরিয়ে দশ বছরে পদার্পণ করলো দেশের জনপ্রিয় সংবাদভিত্তিক চ্যানেল যমুনা টেলিভিশন। নির্ভুল তথ্য দর্শকের কাছে পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার সামনে রেখে নয় বছর আগে যাত্রা শুরু চ্যানেলটির। দর্শকের ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণায় অবিরাম ছুটে চলছে যমুনা। জনপ্রিয়তা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে দায়িত্বশীলতাও।

দেশের শীর্ষ এই সংবাদভিত্তিক চ্যানেলটির কর্মপদ্ধতি নিয়ে এক নজরে জেনে আসা যাক। প্রথমেই বলি প্রোডাকশন টিমের কথা। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন; যমুনার প্রোডাকশন টিমের একঝাঁক নিবেদিত প্রাণের দায়িত্ব, নির্ভুল সংবাদ উপস্থাপন। প্রোডাকশন কন্ট্রোল রুম বা পিসিআর পরিচালনা, নির্দেশনা আর মাঠের সঙ্গে কানেকশনের চ্যালেঞ্জ; তাদের নিখুঁত কাজের ধারাবাহিকতায় বলা যায় ‘প্রোডাকশন টিম দ্য বেস্ট’।

চ্যালেঞ্জকে যারা চয়েজে পরিণত করেন, তারা রিপোর্টার, টিম যমুনার প্রাণ। দর্শকের কাছে দ্রুত সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব তাদের মননে-মস্তিষ্কে। তাই সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে মাঠের সংবাদ তুলে ধরতে একেকজন রিপোর্টার যেন ‘প্রমিথিউস’। সেই সাথে ক্যামেরা লেন্সে সংবাদের পিছনে ছুটতে থাকেন ভিডিও জার্নালিস্টরা। মাটি ও মানুষের সেই গল্পে মেলবন্ধন ঘটান ভিডিও এডিটর।

সংবাদের প্রাণ ভোমরা নিউজরুম জেগে থাকে দিনরাত। সৃষ্টি হয় সংবাদের কাঠামো, বিশ্লেষণ বা নীতি-কৌশল। নিউজ এডিটরদের মুনশিয়ানায় নতুন মাত্রা যোগ হয় রিপোর্ট-ফিচারে।

অ্যাসাইনমেন্ট ডেস্ক। বাংলামোটর-প্রগতিসরণী, নিউজ এডিটর আর রিপোর্টারদের সেতুবন্ধন তৈরিতে মরিয়া তারা। ব্যবসা-বাণিজ্য আর অর্থনীতির জটিল-কঠিন বিষয়ের সহজ উপস্থাপনে সদা-ব্যস্ত যমুনার বিজনেস টিম।

যমুনা স্পোর্টস মানেই আলাদা কিছু। ক্রিকেট কিংবা ফুটবল, মাঠে বা মাঠের বাইরে, খেলাধুলার খুঁটিনাটি জানাতে তাদের জুড়ি মেলা ভার। আর প্রান্ত থেকে কেন্দ্র, সব খবর সবার আগে। সারাদেশে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে সদা জাগ্রত যত্নশীল, ন্যাশনাল ডেস্কের সহকর্মীরা।

যমুনা টিভির আন্তর্জাতিক সংবাদের মতো এতোটা জনপ্রিয় বুলেটিন এর আগে কে করেছে? যমুনা আই-ডেস্কের পরিবেশনায় বিমোহিত দর্শক। নেপথ্যে আন্তর্জাতিক ডেস্কের কর্মীদের অবদান অফুরান। সেই সাথে বিনোদন দুনিয়ার সংবাদেও যমুনার আছে দখল। এছাড়া যমুনার অনুসন্ধানী দল পুরো বাংলাদেশকে রেখেছে তাদের অতসী কাঁচের আওতায়।

এদিকে, মিলিয়ন ভিউ কিংবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাথে বন্ধুতা গড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজত্ব যমুনার নিউ মিডিয়ার। হারতে চায় না এই ডেস্কের নিবেদিতপ্রাণ সহকর্মীরা। জয়টা যে তাদের পেতেই হবে। এরই মধ্যে জাতীয়- আন্তর্জাতিক নানা অর্জনে সিক্ত তাদের চিত্ত।

যমুনা টেলিভিশনের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রোকসানা আঞ্জুমান নিকোল বলেন, দশম বছরে অবশ্যই আমরা নতুন কিছু করবো। কীভাবে দর্শকের আরও বেশি ভালোবাসা পাওয়া যায়, আরও বেশি কাছে যাওয়া যায়। এই ডিজিটাল যুগে যমুনা টেলিভিশন আরও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছেছে, দর্শকের আরও বেশি ভালোবাসা অর্জন করেছে।

যমুনার গ্রাফিক্স মানে স্মার্ট কিছু। পর্দায় বাড়তি আকর্ষণ যোগান ক্রিয়েটিভ এই টিম। আর প্রযুক্তি বিভাগের নিরলস পরিশ্রম, লিংক রুমের যোগাযোগ, মাস্টার কন্ট্রোল রুমের দক্ষতা, সমন্বয় বিভাগ ও আর্কাইভ বিভাগের কর্মপ্রয়াসেই চলে যমুনার সামনে থাকার লড়াই।

দর্শকপ্রিয়তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে  যমুনা টেলিভিশনের যুগ্ম প্রধান বার্তা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, যমুনা টেলিভিশন শুরু থেকেই ভণ্ড, প্রতারক, দুর্নীতিবাজ এদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবস্থান নিয়েছে। এটিই আমাদের দর্শকরা পছন্দ করেছে। যেসব কারণে আমাদের দর্শকপ্রিয়তা বেড়েছে। আমরা এই ধারাটাই ধরে রাখতে চাই।

সামনে দিনেও দারুণ কিছুর করার প্রত্যয় প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ নেতৃত্বের। যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, আমরা একটা স্মার্ট টেলিভিশন বাংলাদেশের মানুষকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা আশা করি দর্শকরাও আমাদের সাথে থাকবেন। দর্শকরা আরও সুন্দর সুন্দর আরও নতুন কিছু পাবেন। আশা করি নিরাশ হবেন না।

ইউএইচ/

Exit mobile version