Site icon Jamuna Television

বঙ্গোপসাগরে গোপন ঘাঁটি তৈরি করছে চীন, অভিযোগ ভারতের

উত্তরের লাদাখ-ডোকলাম কিংবা অরুণাচল, সীমান্ত ইস্যুতে চীন-ভারত বিবাদ চলছে অনেকদিন ধরেই। এবার যে বিরোধ গড়ালো সমুদ্রে। বঙ্গোপসাগরে নজরদারি বাড়াতে এবার মিয়ানমারের কোকো আইল্যান্ডসে গোপন ঘাঁটি তৈরি করছে বেইজিং, এমন অভিযোগ করলো ভারত। স্যাটেলাইটের ছবি প্রকাশের পর ভারতের অভিযোগ, দ্বীপাঞ্চলটিতে স্থাপন করা হচ্ছে রাডার স্টেশন, যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গার এবং রাস্তা। এ নির্মাণকাজ বন্ধের জন্য মিয়ানমারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। যদিও, নিজেদের দ্বীপে চীনের ঘাঁটি তৈরির কথা অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

দিল্লির অভিযোগ, বঙ্গোপসাগরে কোকো আইল্যান্ডে চীনের সামরিক ঘাঁটি তৈরির বিষয়টি ধরা পড়েছে ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইটে। সে ছবিও প্রকাশ করেছে দিল্লি। তাতে দেখা যায়, দুর্গম দ্বীপে তৈরি হচ্ছে রাস্তা, যুদ্ধবিমান রাখার হ্যাঙ্গার, ট্রেঞ্চ এবং রাডার স্টেশন। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরেই চলছে এই তৎপরতা।

ভারতের পূর্ব উপকূল থেকে মিয়ানমারের দূরত্ব ১ হাজার কিলোমিটারের বেশি। কিন্তু আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে কোকো আইল্যান্ডের ব্যবধান মাত্র ৫০ কিলোমিটার। তাই কোকো আইল্যান্ডে সামরিক ঘাঁটি করলে বেইজিংয়ের পক্ষে আন্দামানে নজরদারি চালানো খুব সহজ হবে বলে মনে করছে দিল্লি। গণমাধ্যমের দাবি, এই কাজ বন্ধের জন্য মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দিয়েছে ভারত।

এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে অবগত আছি আমরা। সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বিষয়টি। আমাদের কাছে নিজস্ব নিরাপত্তার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই অনুযায়ীই পদক্ষেপ নেবে ভারত।

মিয়ানমার অবশ্য, তাদের ভূখণ্ডে চীনা সামরিক স্থাপনা তৈরির তথ্যকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে। যদিও, চীনঘনিষ্ঠ জান্তা সরকারের এ বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছে না ভারত।

কোকো আইল্যান্ড।

কোকো আইল্যান্ডস মূলত বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। উপমহাদেশ ছাড়ার সময় ব্রিটিশরা এ অঞ্চলের মালিকানা হস্তান্তর করেছিল মিয়ানমারের কাছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার অভিযোগ, গত শতকের শেষ দশকে অনেকটা গোপনেই চীনের কাছে দ্বীপপুঞ্জটি ইজারা দেয় মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।

এসজেড/

Exit mobile version