Site icon Jamuna Television

বারডেমের হিমঘরে ডা. জাফরুল্লাহর মরদেহ

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) রাখা হয়েছে।

বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সামগ্রিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

জানা গেছে, আগামীকাল সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। কিন্তু ডা. জাফরুল্লাহকে কোথায় দাফন করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। আইনি জটিলতা না থাকলে তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেলকে দান করা হতে পারে। অন্যথায়, রাউজানে তার মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকাকালীন মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এর আগে, লাইফ সাপোর্টে থাকা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মোস্তাফী জানিয়েছিলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রক্তে ইনফেকশন পাওয়া গেছে। ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে যে ওষুধ দেয়া হয়েছে তাতে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে।

এরপর দীর্ঘ সময় ধরে তার কিডনির ডায়ালাইসিস করা হয়েছিল। ৮১ বছর বয়সী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এ অবস্থায় তিনি তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার কথা বলা হলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। গত সোমবার সকালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

জনস্বাস্থ্য বিষয়ে দেশের ইতিহাসে অন্যতম প্রধান চিন্তক ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। নিজে ছিলেন একজন ভাস্কুলার সার্জন। ১৯৮২ সালের আলোচিত ওষুধ নীতি প্রণয়নের অন্যতম কারিগর ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এই নীতি দেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশে বড় ভূমিকা রাখে।

ইউএইচ/

Exit mobile version