Site icon Jamuna Television

প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার অধ্যাপক সুদর্শন ডিএস সেনেভিরাইন।

বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশের যে ঐতিহাসিক বন্ধন তা অভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সবসময় শ্রীলঙ্কার সাথে ঐতিহাসিক বন্ধন ও অন্যান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় জোর দেয়।

বুধবার (১২ এপ্রিল) গণভবনে ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিদায়ী হাইকমিশনার অধ্যাপক সুদর্শন ডিএস সেনেভিরাইনের সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

ইহসানুল করিম জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার উভয়েই ‘সুনীল অর্থনীতির’ ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ সময় বাংলাদেশে সফলভাবে দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করায় হাইকমিশনার সুদর্শন ডিএস সেনেভিরাইনকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনার। বিনিয়োগ, কৃষি, মৎস্য, ওষুধ, সামুদ্রিক যোগাযোগ ও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় শ্রীলঙ্কার সাথে ঐতিহাসিক বন্ধন ও অন্যান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় জোর দেয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচির ৯০ শতাংশ এখন দেশীয় সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা হয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সারাদেশে উন্নয়ন প্রক্রিয়া থেমে গিয়েছিল।  কিন্তু, বাংলাদেশ এ অবস্থা থেকে ফিরে আসার জন্য সংগ্রাম ও কঠোর পরিশ্রম করছে।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠককালে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ বাণিজ্য, পর্যটন, গভীর সমুদ্রবন্দর ও ওষুধ খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। পদ্মা সেতুর মতো মাতারবাড়ি ও পায়রার বন্দর প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ কানেক্টিভিটির বড় আঞ্চলিক হাবে পরিণত হবে বলে মনে করেন তিনি। এ সময় পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের ভারসাম্য রক্ষার ফর্মুলারও প্রশংসা করেন অধ্যাপক সুদর্শন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি এদেশের জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন বলেও জানান হাই কমিশনার।

এ সময় আ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

/এসএইচ

Exit mobile version