যুদ্ধ যতো দীর্ঘায়িত হচ্ছে ততই বাড়ছে ইউক্রেনের অস্ত্র-গোলাবারুদের সংকট। শক্তিশালী রুশবহরকে মোকাবেলায় প্রতিদিনই ইউক্রেনের বিপুল গোলাবারুদ খরচ হচ্ছে, যার তুলনায় পশ্চিমা সহায়তা অপর্যাপ্ত। এ পরিস্থিতিতে মিত্ররা দ্রুত সহযোগিতা না পাঠালে, যুদ্ধের মাঠে টিকে থাকাই কঠিন বলে দাবি করছে কিয়েভ। খবর বিবিসি’র।
প্রতিদিন বিপুল সমরাস্ত্র খরচ হওয়ায় সংকটে পড়েছে ইউক্রেন। সংঘাতের শুরু থেকে এ পর্যন্ত, রাশিয়ার মিসাইল, ড্রোন প্রতিরোধে ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি সফলতা এনে দিয়েছে বাক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এখন যুদ্ধের ময়দানে এই সমরাস্ত্রই আছে অল্প কয়েকটি। এছাড়া বিএম-২১ রকেট লঞ্চার থেকে একসময় ৪০ ব্যারেল গোলা একসাথে ছুড়লেও বর্তমানে ইউক্রেনের সেনারা হাতে গোনা কয়েকটি ছুড়তে পারছে।
পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া নথিতেই প্রকাশ পেয়েছিল এই সংকটের তথ্য। যুদ্ধের ময়দান থেকেও জেলেনস্কি বাহিনী চাচ্ছে সহায়তা। বলছে, তাদের কাছে নেই পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ। এছাড়া প্রতিপক্ষের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সমরাস্ত্র মেরামতের জন্য কারখানা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নেই ইউক্রেনের কাছে। পশ্চিমারা দ্রুত সাহায্য না করলে যুদ্ধের ময়দানে টিকে থাকাই কঠিন হবে তাদের জন্য।
ইউক্রেনীয় সেনা ভলোদেমির বলেন,আমাদের কাছে এখন পর্যাপ্ত গোলাবারুদ নেই। যুদ্ধে অস্ত্রের অভাবে সৈন্যরা মারা যাচ্ছে। মিত্রদের কাছ থেকে আমাদের আরও প্রচুর অস্ত্র সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু এই ভেবে আমরা উদ্বিগ্ন, হয়তো সামরিক সরঞ্জাম দিতে দিতে আমাদের পশ্চিমা মিত্ররা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।
সংঘাত আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে পশ্চিমা সমর্থন কমে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, চলতি বছরেই আরও আক্রমণাত্মক হতে চায় কিয়েভ, কিন্তু সমরাস্ত্রের অভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারছে না তারা।
/এনএএস

