Site icon Jamuna Television

গালওয়ান সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি চীন-ভারত

আগ্রাসন বন্ধ না হলে সীমান্ত সংকটের সমাধান হবে না, বৈঠকে চীনকে এমন বার্তা দিয়েছে ভারত। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগী সংস্থা’র বৈঠক শেষে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এ বিষয়ে কথা বলেন দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর মাধ্যমে গালওয়ান সংকটের প্রায় তিন বছর পর আলোচনার টেবিলে বসলো দিল্লি-বেইজিং। এসময় সীমান্তে আগ্রাসন বন্ধে চীনের প্রতি আহ্বান জানান ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

সাংহাই সহযোগী সংস্থা এসসিও এর বৈঠকে একই টেবিলে বসে চীন-ভারত-পাকিস্তান। সাথে ছিল রাশিয়াও। ভূ রাজনীতি ইস্যুতে যখন কঠিন সময় পার করছে বিশ্ব, তখনই আলোচনায় বসলো চীন-ভারত ও পাকিস্তান। এই বৈঠকে অংশ নিতে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছান চীন এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। অনলাইনে যোগ দেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। আলোচনা হয় আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ নানা ইস্যুতে। এরপরই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসে দিল্লি-বেইজিং।

তিন বছর আগে সালে গালওয়ানে চীন-ভারত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর এই প্রথমবারের মতো মুখোমুখি দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। বৈঠকে দিল্লির জানায়, সীমান্ত সংকট সমাধানের ওপর ভারত-চীন সম্পর্ক নির্ভর করছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণরেখার সংকটের সমাধান সম্ভব।

এ নিয়ে ভারতের সাবেক কূটনীতিক অশোক সাজ্জানহার বলেন, ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বার্তা খুবই স্পষ্ট। যতক্ষণ না ভারতীয় সীমান্তে চীন তার আগ্রাসন বন্ধ করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। তাই আলোচনার টেবিলে এটাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ সীমান্ত আইন চীনই লঙ্ঘন করছে।

এদিকে চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু কেপি লং বলেন, দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক অনেক কিছুই আছে। আমার মনে হয়, সেগুলো নিয়েই সামনে আগানো উচিত। যেসব ইস্যুতে বিতর্ক চলছে সেগুলো যদি ধরে বসে থাকা হয় তাহলে দিল্লি-বেইজিং সম্পর্ক একটা জায়গায় এসে আটকে থাকবে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের সময় এখন নয়।

২০২০ সালের জুনে ৪ দশকের মধ্যে প্রথম প্রাণঘাতী সংঘাতে জড়ায় ভারত ও চীনের সীমান্তরক্ষীরা। সে সময়ই ২০ সেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল ভারত। তখন নয়াদিল্লির দাবি ছিল, পাল্টা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন চীনের অনেক সেনা।

এসজেড/

Exit mobile version