Site icon Jamuna Television

পাঁচ শতাধিক সন্তানের বাবা নেদারল্যান্ডসের জোনাথন!

জোনাথন জ্যাকব। ছবি : সংগৃহীত

সন্তান জন্ম দেয়া তার নেশা। একটি-দুটি নয়, তার সন্তান সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। শুক্রাণু দানের মাধ্যমে এত সন্তানের জন্মদাতা হয়েছেন তিনি। অবিশ্বাস্য এ ঘটনা ঘটিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের জোনাথন নামের এক ব্যক্তি। একের পর এক সন্তানের জন্ম দিয়ে চলা এই ব্যক্তিকে এবার থামার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। খবর রয়টার্সের।

একুশ শতকের উন্নত বিশ্বে শুক্রাণু দান বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক দেশেই, দাতাকে দেয়া হয় অর্থ। নেদারল্যান্ডসে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শুক্রাণু দানের জন্য একজন দাতা পায় ১০ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত।

দেশটির স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুযায়ী অবশ্য একজন শুক্রাণুদাতা সর্বোচ্চ ২৫ জন সন্তানের বাবা হতে পারবেন। অথচ, জোনাথন মেইজার নামের ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শুক্রাণু থেকে জন্ম হয়েছে পাঁচশোর বেশি সন্তান।

আদালতের রায়ে, জোনাথন আর কোনো হাসপাতালে শুক্রাণু দান করতে পারবেন না। নির্দেশ অমান্য করলে প্রতিবার তাকে ১ লাখ ১০ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হবে। এমনকি, বর্তমানে যেসব ক্লিনিকে তার শুক্রাণু সংরক্ষণ করা আছে, সেগুলোও ধ্বংস করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

জোনাথনের কাছ থেকে শুক্রাণু নিয়ে বাবা-মা হয়েছেন এমন বেশ কয়েকজনের প্রতিনিধি হিসেবে, ডোনারকাইন্ড নামের একটি সংস্থার করা মামলায় এ রায় দেন আদালত।

ডোনারকাইন্ডের কর্মকর্তা ইস্টার ডে ল্যাও বলেন, আমরা জানি, ডোনারের শুক্রাণু থেকে জন্ম নেয়া মানুষেরা জীবনের কোনো না কোনো সময় তার জন্মদাতা কিংবা আত্মীয়স্বজনের সাথে পরিচিত হতে চায়। কিন্তু একজনের পক্ষে পাঁচশ সন্তানের মুখোমুখি হওয়া অনেকটাই অসম্ভব ব্যাপার। এছাড়া, চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, একজনের পক্ষে এতগুলো সন্তানের জন্ম দেয়া স্বাস্থ্যকর নয়। এ কারণেই এই গণ শুক্রাণু দান বন্ধ করতে চেয়েছি আমরা।

অবশ্য, জোনাথনের এই গণ শুক্রাণু দানের বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসেন ২০১৭ সালে; নেদারল্যান্ডসের ক্লিনিকগুলোতে তার শুক্রাণু দানে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর। যদিও ততদিনে, নেদারল্যান্ডসেই শতাধিক সন্তানের জন্ম হয়েছিল জোনাথনের কাছ থেকে। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পার্ম ব্যাংকে শুক্রাণু দেয়া শুরু করেন তিনি।

এএআর/

Exit mobile version