রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সার্বিক পরিস্থিতি কতটা অনুকূলে রয়েছে তা দেখতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে বসবাসরত ২০ জন রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ২৭ সদস্যের একটি একটি প্রতিনিধিদল।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশের টেকনাফ জেটিঘাট থেকে ২০ জন রোহিঙ্গা ও ৬ জন সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের রাখাইনের মংডুতে অবস্থিত প্রত্যাবাসন IDP ক্যাম্প, NGA khu ya ট্রানজিট ক্যাম্প, Kyin Chaung (south) ট্রানজিট ক্যাম্প, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য তৈরিকৃত ২টি গ্রাম পরিদর্শন শেষে নৌপথে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।
পরিদর্শনকারী দল জানায়, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য ১৫টি গ্রামের মধ্যে দুটি গ্রামে ইতোমধ্যে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অন্যান্য দেশের সহায়তায় বাসস্থান তৈরি করেছে। প্রতিদিন ৩০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তারা গ্রহণ করবে এবং ট্রানজিট ক্যাম্পে ৩ দিন রেখে তারপর গ্রামে পুনর্বাসন করবে বলে জানা যায়। সপ্তাহের ৫ দিনে ৩০ জন করে ১৫০ জন রোহিঙ্গা মিয়ানমারে নেয়া হবে।
পরিদর্শনকারী দল মিয়ানমারের মংডুতে গিয়ে দেখতে পায়, সেখানে রোহিঙ্গারা ইতোমধ্যে গ্রামে বসবাস করছে এবং টাউনশিপের বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে তারা সম্পৃক্ত আছে। রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল যারা বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন তারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ফেরত এসেছেন। তবে রোহিঙ্গারা তাদের বাসস্থানের পাশাপাশি নিজ গ্রামে প্রত্যাবাসন এবং নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে দাবি জানায়।
মংডু টাউনশিপ প্রশাসক জানান, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার পর প্রতি পরিবারকে মডেল ভিলেজে একটি করে ঘর, কৃষি কাজের জন্য জমি সার, বীজ ইত্যাদি দেয়া হবে। রোহিঙ্গাদের দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখার সুযোগ থাকবে এবং পরবর্তীতে সিটওয়ে ইউনিভার্সিটিতে পড়তে পারবে।
ইউএইচ/

