গোলাবারুদের অভাবে রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা ওয়াগনার গ্রুপের বাখমুত ছেড়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিকে আমলেই নিচ্ছে না ইউক্রেন। কিয়েভের উল্টো দাবি, অঞ্চলটি দখলে অভিযান আরও জোরদার করেছে তারা। এ ইস্যুতে মুখ না খুললেও, ফ্রন্টলাইনে সেনাদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবাহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। একইদিন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্রদের কাছ থেকে আরও সামরিক সহায়তার আশ্বাস মিলেছে বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে যুদ্ধ চলছে বাখমুতে। সেখানে রাশিয়ার তরফে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভাড়াটে প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপ। তাদের দাবি, ৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার অঞ্চলটিতে এখন কেবল আড়াই বর্গকিলোমিটার ইউক্রেনের দখলে। সেই বাখমুত থেকেই অস্ত্র-সরঞ্জামের অভাব দেখিয়ে, কয়েকদিনের মধ্যেই সেনাদের সরিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়েছে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান। যদিও এ কথায় কান দিতে নারাজ কিয়েভ। ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধানের দাবি, বাখমুতের অন্য অংশে আরও জোরদার হয়েছে অভিযান। অস্ত্রের অভাবের বিষয়টিরও ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, শুক্রবার বাখমুত ও এর আশপাশে ছোড়া হয়েছে কমপক্ষে ৫২০ রাউন্ড গোলা।
এদিকে, বাখমুতের পশ্চিমে চাপ প্রয়োগের কথা জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও। ক্রামাতোরস্কে একটি সেতু ধ্বংসের কথা জানিয়েছে রুশ বাহিনী। যেটি ব্যবহার হতো ইউক্রেনীয় সেনাদের অস্ত্র সরবরাহে। একটি কারখানায়ও চালানো হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
এ বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকোভ বলেন, দোনেৎস্কে বাখমুতের পশ্চিমে জোরালো অভিযান চলছে। ফ্রন্টলাইনে একটি সেতু ধ্বংস করা হয়েছে। বিমান হামলাও চালিয়েছে সেনারা। বাখমুতে অস্ত্র সরঞ্জাম সরবরাহে সেতুটি ব্যবহার করতো ইউক্রেন।
শুক্রবার বাখুমত, মারিয়াঙ্কাসহ ৩০টি স্থানে হামলা প্রতিহতের দাবি জানিয়েছে ইউক্রেন। ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস সফর শেষে দেশে ফিরেই শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তিনি জানান, আরও সামরিক সহযোগিতা মিলবে মিত্রদের কাছ থেকে।
এ নিয়ে মুখ খুলেছেন জেলেনস্কিও। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ তার নেতৃত্বের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রই ইউক্রেনের প্রকৃত মিত্র। আমরা পাশাপাশি থেকে লড়ছি। দু’দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যা আগে কখনও ছিল না। হেলসিংকি ও হেগের আলোচনায়ও বড় অগ্রগতি হয়েছে। আরও শক্তিশালী অস্ত্র-সরঞ্জাম পাবো আমরা।
শুক্রবার রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সেনাদের প্রস্তুতি আর অস্ত্র সরঞ্জাম পরিদর্শন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। সেনাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিতের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
এসজেড/

