Site icon Jamuna Television

যৌতুক না দেয়ায় শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে নির্যাতন

কামাল হোসাইন,নেত্রকোণা
পাওয়ার ট্রিলার ক্রয়ের জন্য বাবার বাড়ি থেকে মোটা অংকের টাকা এনে না দেয়ায় নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় সালমা আক্তার (১৮) নামে এক স্ত্রীকে অমানবিক নির্যাতন করেছে স্বামী। নির্যাতনের শিকার সালমাকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে তার বাবা। কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ডুমদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত সালমা আক্তার গড়াডোবা ইউনিয়নের ঝাইরকোনা গ্রামের হাদিস মিয়া মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গত ৫ মাস আগে মা-বাবার সম্মতি ছাড়াই সালমাকে বিয়ে করে একই ইউনিয়নের ডুমদী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে হৃদয় মিয়া। বিয়ের পর থেকে পাওয়ার ট্রিলার ক্রয়ের জন্য বাবার বাড়ি থেকে মোটা অংকের টাকা এনে দিতে স্ত্রী সালমার উপর চাপ সৃষ্টি করে স্বামী হৃদয়। এতে সালমা অসম্মতি জানালে তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো শুশ্বর বাড়ির লোকজন। গৃহবধূ স্বামীর নির্যাতন সঁইতে না পেরে খালার বাড়িতে চলে যায়।

পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য হিলাল উদ্দিন হিলালী সালমাকে টাকার জন্য আর নির্যাতন করবে না মর্মে পুনরায় স্বামীর বাড়িতে এনে দেন। কিন্তু একদিন না যেতেই গত বুধবার সকালে স্বামী হৃদয় আবারও সালমার উপর নির্যাতন শুরু করে। এ সময় সালমাকে বেদড়ক মারপিট করে আহত করে এবং যাতে সে চিৎকার না করতে পারে সেজন্য স্বামী হৃদয় সালমার গলা চেপে ধরে। পরে খবর পেয়ে সালমার মা মনোয়ারা আক্তার স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার আহত মেয়েকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নির্যাতিত চিকিৎসাধীন সালমা আক্তার জানান, আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বাবা-মার অসম্মতিতে হৃদয় আমাকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই পাওয়ার ট্রিলার ক্রয়ের জন্য সে আমাকে বাবার বাড়ি থেকে মোটা অংকের টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আমি টাকা এনে দিতে না পারায় হৃদয় প্রায় প্রতিদিনই আমাকে মারপিট করে। মঙ্গলবার রাতের বেশির ভাগ সময় আমার গলা চেপে ধরে ও শ্বাসরোধ করে আমার উপর নির্যাতন চালায় হৃদয় এবং বুধবার সকালে আমাকে বেদড়ক মারপিট করে।

এ বিষয়ে উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণী হাসান নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। এ ঘটনায়দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাই।

ওই গৃহবধূ সালমার মা মনোয়ারা আক্তার জানান, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version