Site icon Jamuna Television

বাজপেয়ী না থাকলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না মোদি!

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী মারা গেছেন। বাজপেয়ী ছিলেন ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপি থেকে দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট।

তিনি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। ৯ সপ্তাহ ধরে এইমস-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

বাজপেয়ী না থাকলে নাকি প্রধানমন্ত্রীই হতে পারতেন না নরেন্দ্র মোদি ৷ এমনটাই দাবি করেছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম। অনেকেই জানেন না যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জীবনের এক সময় রাজনৈতিক জীবন ত্যাগ করে অজ্ঞাতবাসে চলে গিয়েছিলেন ৷

সেই সময় মোদি আমেরিকায় পড়াশোনা করছিলেন ৷ তখন একবার আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন বাজপেয়ী ৷ তিনি যখন জানতে পারেন যে মোদি রাজনীতি ছেড়ে সেখানে রয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে তাকে ডেকে পাঠান ৷ দেখা করার তিনি মোদিকে বলে ‘এইভাবে পালিয়ে কাজ হবে না, কতদিন এখানে থাকবে? দিল্লি এসো …’

প্রবীণ সাংবাদিক বিজয় ত্রিবেদীর ‘হার নেহি মানুঙ্গা-অটল এক জীবন গাথা’ বইয়ে ১২ নম্বর অধ্যায়ে এই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৷ বাজপেয়ী ও মোদির আমেরিকার সাক্ষাৎকারের পর নাকি মোদি দিল্লি ফিরে আসেন ৷ অশোক রোডের পুরনো অফিসে মোদিকে একটি ঘর দেওয়া হয় ৷ সেখান থেকে সংগঠন আরও শক্তিশালী করার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে ৷ সেই সময় গুজরাটে কেশুভাই পটেলের বিরোধীদের সমর্থন করার অভিযোগে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ৷ সেই সময় মোদি যে ঘরে থাকতেন সেখানে কেবল একটি চৌকি ও দুটি চেয়ার ছিল ৷

অক্টোবর ২০০১ মোদির কাছে বাজপেয়ীর ফোন আসে ৷ তাকে দ্রুত দেখা করার জন্য ডাকা হয় ৷ ২০০০ সালে গুজরাটে আহমেদাবাদ ও রাজকোটের পুরসভা নির্বাচনে হেরে যায় বিজেপি ৷ ২০০১ সেপ্টম্বরে বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনেও হেরে গিয়েছিল বিজেপি ৷ পার্টির হাইকমান্ডের মনে হয় এরকম চললে ২০০৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যেতে পারে বিজেপি ৷ তাই কেশুভাই পটেলকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ বাজপেয়ীর সম্মতিতে ২০০১ অক্টোবর ৭ মোদিকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ৷ এখান থেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাস্তা খুলে যায় মোদির জন্য ৷

Exit mobile version