Site icon Jamuna Television

দক্ষিণখানে জনদুর্ভোগ; জলাবদ্ধতার সমাধানে মিলেছে আশ্বাস, কমেনি ভোগান্তি

রাজিব আহমেদ:

আধুনিক নগরী বিনির্মাণে প্রতিনিয়ত নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তবে এই উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে অনেকটাই বঞ্চিত দক্ষিণখানের বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত সেখানে কয়েক লাখ মানুষ। এসব সমস্যার সমাধান কবে মিলবে, তার উত্তরও জানা নেই কারও।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকা দক্ষিণখানের শাহ কবির মাজার রোড। মূল শহরের সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়ক এটি। অথচ সারা বছর তা ডুবে থাকে পানিতে। এলাকাবাসী বলছেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার এ পরিস্থিতি। তাই দিনের পর দিন দুর্ভোগ নিয়েই থাকতে হচ্ছে তাদের। তারা জানান, এই রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্টও নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। পুরো এলাকার শৌচাগারের পানি এসে জমা হয় এখানে। বাসিন্দাদের দোকান ও বাসস্থানেও ভাড়া পাওয়া যায় না রাস্তার এই বেহাল অবস্থার জন্য।

চাকুরীজীবী, গার্মেন্টস কর্মী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াত এই রাস্তা দিয়ে। বারবার তাই সংশ্লিষ্টদের কাছে রাস্তা সংস্কারে আবেদনও জানায় এলাকাবাসী। কিন্তু কাজ হয়নি। হতাশ এলাকাবাসী জানান, গ্রামের রাস্তাও নাকি এর চেয়ে বহুগুণ ভালো। রাস্তা সংস্কার যাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, তারা এর কোনো সমাধান দিতে পারছে না, দিচ্ছেও না। নেতৃস্থানীয় যারা আছেন, তাদের এই রাস্তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই বলেও জানান ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসী।

এমন অবস্থার জন্য সুয়ারেজ লাইন না থাকাকে দায়ী করেন ওয়ার্ড কমিশনার। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি। একই আশ্বাস মিলেছে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীর কাছ থেকেও। ৪৭ নং ওর্য়াড কমিশনার মোতালেব মিয়া বলেন, যারা এই রাস্তাটি এর আগে ঢালাই করেছে তারা সুয়ারেজ লাইন বন্ধ করে দিয়েছে। ৩-৪ দিনের মধ্যে এটির সমাধান করার চেষ্টা করছি আমরা।

উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, জলাবদ্ধতা দ্রুততম সময়েই নিরসন করা হবে। সেনাবাহিনী এই রাস্তার কাজ করছে। এটি সম্পন্ন হলেই অত্র এলাকা উন্নয়নের আওতায় চলে আসবে, জনদুর্ভোগ লাঘব হবে। জলাবদ্ধতাই শুধু নয়, এই এলাকার রাস্তাঘাটগুলো আমরা আধুনিকায়ন করে দেবো।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, নাগরিক ভোগান্তি লাঘবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে সবকিছুই করবে উত্তর সিটি করপোরেশন।

/এম ই

Exit mobile version