Site icon Jamuna Television

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি বিজ্ঞাপন ঘিরে হৈচৈ (ভিডিও)

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নতুন করে শিল্পক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে শুরু করেছে। এর জেরে প্রযুক্তি খাতে যেমন পরিবর্তন আসছে, তেমনই মানুষের কর্মক্ষেত্র কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গান বা প্রবন্ধ লেখা থেকে শুরু করে মেশিনারি তৈরিতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কোনো অভিনয় শিল্পী ছাড়াই একটি বিয়ারের বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে লন্ডনভিত্তিক একটি প্রযোজনা সংস্থা। এ বিজ্ঞাপন প্রকাশের পরই হৈচৈ পড়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। খবর এনডিটিভির।

বিজ্ঞাপনের ভিডিও এরই মধ্যে ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছে এই প্রযোজনা সংস্থা। সেখানে লেখা হয়েছে, এটি একটি কাল্পনিক বিয়ারের বিজ্ঞাপন। এই ভিডিওর কোনো চরিত্র বাস্তবে নেই। তবে আপনি ভবিষ্যতে এই বিয়ার পান করতে পারেন।

বিজ্ঞাপনের ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাড়ির প্রাঙ্গণে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। সেই পার্টির মধ্যে বিয়ার হাতে উল্লাস করছেন একদল যুবক-যুবতী। সবার হাতেই রয়েছে নীল রঙের বোতলে ভরা একই ব্র্যান্ডের বিয়ার। বিজ্ঞাপনে থাকা চরিত্রগুলোকে বিয়ার হাতে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নাচতে-গাইতে দেখা যাচ্ছে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি এ ভিডিও এক ঝলক দেখে স্বাভাবিক বলে মনে হলেও ভালোভাবে খেয়াল করলে যে কেউ আঁতকে উঠবেন।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

ভালো করে দেখলে দেখা যাবে, বিজ্ঞাপনে বিয়ার হাতে যে চরিত্রগুলো উল্লাস করছে, তাদের সকলের মুখ বিকৃত। কারও মুখ বেঁকে গেছে, কারও চোখ উপর-নিচে হয়ে গেছে। তারা একে অপরের সঙ্গে যেভাবে কথা বলছে তাও স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। এআইয়ের তৈরি বিজ্ঞাপন দেখে অনেকের ভয় পেয়েছেন বলেও দাবি করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকে এই ভিডিওকে ভূতুড়ে ছবির ট্রেলার বলেও মন্তব্য করেছেন।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

এদিকে, সারা জীবন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করার পর নিজের কাজ নিয়ে সম্প্রতি অনুশোচনা করতে দেখা গেছে বিখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির ‘গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিন্টনকে। ভবিষ্যতে এই এআই কতটা বিস্তৃত হবে এবং তার প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে তা নিয়ে সম্প্রতি একাধিক জায়গায় কথা বলেছেন তিনি। ২০১৮ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যুগান্তকারী কাজের জন্য ‘ট্যুরিং পুরস্কার’ জিতেছেন। কিন্তু এখন তার দাবি, তিনি যে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছেন তার পরিণতি হতে পারে ভয়ঙ্কর।

এসজেড/

Exit mobile version