Site icon Jamuna Television

পোর্ট সুদানে জনভোগান্তি চরমে; হোটেল ভাড়া বেড়ে লাখ পাউন্ড, বাড়তি নিত্যপণ্যের দামও

ছবি : সংগৃহীত

চলমান সংঘাতের মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে পোর্ট সুদানে পাড়ি জমিয়েছেন খার্তুমের বাসিন্দারা। তবে দুর্দশা যেন পিছু ছাড়ছে না তাদের। পোর্ট সুদানে একদিনের হোটেল ভাড়া বাড়িয়ে করা হয়েছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১ লাখ সুদানি পাউন্ড। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও। খবর এপি নিউজের।

খবরে বলা হয়েছে, খার্তুম থেকে দলে দলে মানুষ পোর্ট সুদানে আশ্রয় নেয়ায় আকাশ ছুঁয়েছে হোটেল-মোটেলের ভাড়া আর নিত্যপণ্যের দাম। এতে চরম বিপাকে পড়েছে সংঘাতপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়লেও থাকা-খাওয়া নিয়েই এখন চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।

আশ্রয়প্রত্যাশী এক বাসিন্দা জানান, থাকা-খাওয়া সবকিছুই এখানে ব্যয়বহুল। অনেক সময় টাকা থাকলেও মিলছে না জিনিসপত্র। কারণ এখানে মানুষের অনেক চাপ। একদিনে ৬০ হাজার সুদানি পাউন্ড খরচ হচ্ছে। কোনো কোনো হোটেলের ভাড়া ১ লাখ। দুইদিনের বেশি কারো পক্ষে থাকা সম্ভব নয়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন পোর্ট সুদানের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি- মানবিক দিক বিবেচনায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই নির্ধারণ করা হয়েছে মূল্য। সামলাচ্ছেন অতিরিক্ত অতিথিদের চাপ।

আল-সাওয়াহি হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার সালেহ ইদ্রিস হাসান বলেন, এই হোটেলে ৪৮টি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। এখন সবগুলোতেই খার্তুমের গেস্টরা অবস্থান করছেন। অনেক রাষ্ট্রদূতও এখানে অবস্থান করছেন। সবাইকে সবরকম সুবিধা দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা। এখনও কোনো কিছুর দাম বাড়ানো হয়নি। খরচ সবার নাগালের মধ্যেই আছে।

পোর্ট সুদানের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, খার্তুম থেকে অনেক মানুষ এখানে এসেছে। বেচাকেনা অনেক বেড়েছে। তাদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়টি আমরা খেয়াল রাখছি। তাদের দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে কেউ দামও বাড়ায়নি।

সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে চলা তিন সপ্তাহব্যাপী সংঘাতে দেশ ছেড়েছেন সাড়ে তিন লাখের বেশি সুদানি। তাদের বেশিরভাগ মিসর, দক্ষিণ সুদান, ইথিওপিয়াসহ আশপাশের আরও কয়েকটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

এএআর/

Exit mobile version