Site icon Jamuna Television

উঠে যাচ্ছে ‘টাইটেল ৪২’ আইন, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল

করোনাকালীন আইন টাইটেল ৪২ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশের আশায় সীমান্তে ভিড় করছেন শতশত মানুষ। ছবি : রয়টার্স

মানুষের চাপে নজীরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে। মূলত করোনাকালীন আইন টাইটেল ৪২ শেষ হওয়ার আগে, কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশের আশায় সীমান্তে ভিড় করছেন তারা। যদিও ট্রাম্পের আমলের বিতর্কিত এ আইনের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে ফেরত পাঠিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তবে অনেকের মত, বাইডেনের নতুন অভিবাসন নীতি আরও কঠোর হতে যাচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

মেক্সিকো থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীরা যে যেভাবে পারছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ছুটছেন যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে। করোনাকালীন আইন টাইটেল ৪২ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে মানুষের এই ঢল নেমেছে। সবারই লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে মার্কিন মুল্লুকে প্রবেশ করা।

ট্রাম্পের আমলে কার্যকর হওয়া জনস্বাস্থ্য বিষয়ক টাইটেল ৪২ আইনটি প্রয়োগ করে, অন্তত ২৮ লাখ আশ্রয় প্রার্থীকে আবেদনের সুযোগ ছাড়াই মেক্সিকো সীমান্তে আটকে দেয়া হয়। এরপরও অবশ্য অনুপ্রবেশকারীদের ঢল থামাতে পারেনি মার্কিন প্রশাসন।

ব্যাপক বিতর্কিত সেই আইনের পরিবর্তে অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে আরও কঠোর নীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এখন থেকে তৃতীয় কোনো দেশের নাগরিক মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্র গেলে, সে আশ্রয়ের জন্য বিবেচিত হবে না। এছাড়া অনুপ্রবেশের দায়ে কেউ বহিষ্কৃত হলে পাঁচ বছরের জন্য তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী সাইরাস মেহতা বলেন, বাইডেন প্রশাসন যে নতুন নীতি প্রস্তাব করেছে সেটিও টাইটেল ৪২ এর মতোই। এই নীতি, শরণার্থী প্রটোকলে সাক্ষরকারী দেশগুলো পাড়ি দিয়ে আসা ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এই আইন অনেকের দেশের আশ্রয়প্রার্থীর জন্য আরও কঠোর হবে।

বাইডেনের নতুন নীতিতে আতঙ্কিত অভিবাসন প্রার্থীরা সীমান্তে ছুটছেন টাইটেল ৪২ শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশের আশায়। আবার সীমান্তে যাওয়া অনেকের আশা, আগের আইনটি বাতিল হলে দেশটিতে যেতে পারবেন তারা।

এক অভিভাসনপ্রত্যাশী বলেন, যতদ্রুত সম্ভব সীমান্তে যাওয়ার চেষ্টা করছি। টাইটেল ৪২ শেষ হচ্ছে। আমার ধারণা, এরপর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া আরও বেশি কঠিন হবে। তাই ১১ মে’র আগেই যুক্তরাষ্ট্রে পৌছাতে চাই।

অপর একজন বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে আছি। দেখা যাক কি হয়। তবে আশা করছি, নতুন আইনে আমি সেখানে যেতে পারব, যুক্তরাষ্ট্রে আমার ছেলে রয়েছে। তার সাথে থাকতে চাই আমি।

এরইমধ্যে অবশ্য সমালোচিত হচ্ছে বাইডেনের নীতি। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির আগামী নির্বাচনে অভিবাসন নিয়ে দলগুলোর অবস্থান হবে বড় ফ্যাক্টর।

এএআর/

Exit mobile version