গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তার মনোয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
মনোয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের রিট খারিজের লিখিত আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) ৫ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে এই পর্যবেক্ষণ উঠে আসে।
আদেশে বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোয়নপত্র জমা দেয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল। গত ২ মে তিনি সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর ৯ (২) ধারা অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন প্রার্থী কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোনো ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণ খেলাপি বলে গণ্য হবেন।
এর আগে, গত ৮ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গাজীপুর সিটির এই নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আজমত উল্লা খান। তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। অন্যদিকে, দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের পাশাপাশি তার মা জায়েদা খাতুনও মনোনয়নপত্র নেন। যাচাইবাছাইয়ে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
/এমএন

