রাঙামাটি প্রতিনিধি:
পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রাঙামাটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাঙামাটিজেলা প্রশাসন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সম্ভাব্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ও সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত হয়ে কন্ট্রোলরুম।
জরুরি প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর নম্বর (০১৮২০৩০৮৮৬৯), জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নম্বর (০১৫৫০০২৮৭০৭) এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (টেলিফোন- ০২৩৩৩৩৭১৬২৩) নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনায় প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, শনিবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. আবু তৌহিদ, রাঙামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা রাঙামাটি শহরের শিমুলতলী, রাঙামাটি টিভি সেন্টার এলাকাসহ বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ রোববার যে কোনো সময়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধ্বসের আশংকা রয়েছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় পাহাড়ের ঢালে ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী সকল লোকজনকে প্রবল বর্ষণ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
/এনএএস

