ক্রমেই এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর প্রভাবে বাংলাদেশের পাশাপাশি উচ্চ ঝুঁকিতে আছে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলও। তাই শনিবারই (১৩ মে) মিয়ানমারে সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘রেড সাইক্লোন অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে রাখাইন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে লক্ষাধিক বাসিন্দাকে। খবর সিজিটিএন এর।
এরই মধ্যে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে মোখা। এটি চলতি মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া প্রথম বড় আকারের ঘূর্ণিঝড়। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলছে, বিগত এক দশকের মধ্যে এই মোখা হতে পারে দেশটির জন্য সবচেয়ে ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাই এই দুর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এদিকে, আল জাজিরার তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। জাতিসংঘের মানবিক বিপর্যয় সংক্রান্ত সংস্থা ইউএনওসিএইচএ বলছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঝুঁকিতে আছে রাখাইন এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তিনটি রাজ্য। এগুলো হলো চিন, ম্যাগওয়ে এবং সাগাইং। আর এসব অঞ্চলের মানুষ আগে থেকেই ছিলেন কোণঠাসা। রাখাইনে এরই মধ্যে বাস্তুচ্যুত ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করছেন ক্যাম্পে। আগে থেকেই মানবিক সহায়তার প্রয়োজন ছিল তাদের। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আরও ঝুঁকিতে পড়লেন তারা। এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আসিয়ানের মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা কেন্দ্র এএইচএ সেন্টারও। মোখা মোকাবেলায় এরই মধ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয়ের আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি।
এসজেড/

