এরই মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ধারণা করা হচ্ছে, বিকালের দিকে স্থলভাগ দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ থেকে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরই মধ্যে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে জারি করা হয়েছে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরে জারি আছে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত।
এদিকে, মোখা মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলাগুলোতে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার থেকেই মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে স্থানীয়দের।
শুরুর দিকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে ততোটা আগ্রহী ছিলেন না তারা। রাতে কোথাও কোথাও বৃষ্টি ও দমকা হওয়া শুরু হলে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে থাকেন স্থানীয়রা। সেন্টমার্টিন্সসহ কক্সবাজার জেলায় খোলা হয়েছে ৭৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। সেখানে আশ্রিতদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
অবশ্য মোখার সুপার সাইক্লোন হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় আবহাওয়া অধিদফতের বিফ্রিংয়ে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন এ দাবি করেন। এ সময় মনোয়ার হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাইরের কোনো সংস্থা কী বলছে আমরা তা আমলে নিচ্ছি না।
এসজেড/

