
ছবি: সংগৃহীত
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের দারুণ শুরুর পরও ৭ বল বাকি থাকতে ২৭৪ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। সিরিজ বাঁচাতে এখন আইরিশদের সামনে লক্ষ্য ২৭৫ রানের। তামিমের ৬৫ রানের পর মুশফিকের ৪৫ রানে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখলেও আর কেউ বলার মতো স্কোর করতে না পারায় ২৭৪ রানে থামতে হয় সফররতদের।
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাবার পর ২য় ম্যাচে দারুণ জয় নিয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় টাইগাররা। তাই এই সিরিজ বাঁচাতে আয়ারল্যান্ডের সামনে জয়ের বিকল্প নেই। সেই পরিকল্পনায় টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নে।
অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল হতে দেননি মার্ক অ্যাডায়ার। রনি তালুকদারকে উইকেটরক্ষকের হাতে তালুবন্দী করেন এই পেসার। ২য় উইকেটে শান্তকে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়ে সেই ধকল সামাল দেন অধিনায়ক তামিম। ৩২ বলে ৩৫ রান করে যখন নাজমুল শান্ত আউট হন তখন দলের রান ৬৭।
৩য় উইকেটে লিটন দাসের সাথে আরও একটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়েন টাইগার অধিনায়ক। তবে ৭০ রানের সেই জুটি ভাঙে লিটন ম্যাকব্রিনের বলে ৩৫ রান করে অ্যাডায়ারের হাতে ধরা পড়লে। আর ভালো শুরুর আভাস দিয়ে তৌহিদ হৃদয় মাত্র ১৩ রান করে আউট হলে ১৫৯ রানে ৪র্থ উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।
দলীয় ১৮৬ রানে ৫ম টাইগার ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক তামিম। কিন্তু আউট হবার আগে ক্যারিয়ারের ৫৬তম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। ৮২ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান।
৬ষ্ঠ উইকেটে মেহেদী মিরাজকে সাথে নিয়ে দলের বড় সংগ্রহের জন্য লড়াই শুরু করেন মুশফিকুর রহিম। ৭৫ রানের এই জুটি ভাঙে মুশফিক ম্যাকব্রিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পা দিলে। ৫৪ বলে ৪৫ রান করা মুশফিক হাঁকিয়েছেন ৩টি চার আর ১টি ছয়।
এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। মুশফিক আউট হবার ৩ রানের মধ্যে ৩৭ রান করা মিরাজ আউট হলে আর কেউ বলার মত কোনো রান করতে পারেননি। মাত্র ১৩ রানে শেষ ৫ উইকেটের পতন হলে ২৭৪ রানে গুঁটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে মার্ক অ্যাডায়ার নিয়েছেন ৪ উইকেট। দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনে আর জর্জ ডকরেল।
/এ এইচ



Leave a reply