Site icon Jamuna Television

১৩ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলান

ইন্টার মিলানের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে পারলো না এসি মিলান। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে হেরেছিল ২-০ গোলে। দ্বিতীয় লেগেও হার মানলো তারা। মাদ্রিদ ডার্বির ফিরতি দেখায় ১-০ গোলে জিতে ফাইনালে উঠেছে ইন্টার। দুই লেগে ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় ১৩ বছর পর প্রতিযোগিতার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে তারা।

আগামী ১০ জুন ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে ফাইনালে ইন্টারের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানচেস্টার সিটি। ২০০৯-১০ মৌসুমে সর্বশেষ ইন্টার যখন ফাইনাল খেলেছিল, বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফিও জিতেছিল তারা।

পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো মিলান। ৩৫ গজ দূর থেকে থিও এরনঁদেজের বুলেট গতির শট বেরিয়ে যায় ক্রসবার ঘেঁষে। ঠিকভাবে হয়তো দেখতেও পারেননি ইন্টার গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। জায়গা থেকেই নড়েননি তিনি। ২৪তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে সুযোগ আসে ইন্টারের সামনে। হেনরিখ মিখিতারিয়ানের প্রথম শট প্রতিহত হওয়ার পর অন‍্যটি বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে তুমুল জমে ওঠা লড়াইয়ে ৩৮তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো মিলান। রাফায়েল লেয়াওয়ের দূরের পোস্টে নেয়া বাঁকানো শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় মিলান। হাকান কালহানোগ্লুর ফ্রি কিকে মার্টিনেজের হেডে বল মাইক মিয়াঁর হাত ছুঁয়ে মুখে বাধা পায়। ৪১তম মিনিটে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের বুলেট গতির শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে প্রবল চাপ ধরে রাখে মিলান। ৭৪তম মিনিটে এই অর্ধের প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় দলটি। প্রতি-আক্রমণে রোমেলু লুকাকুর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রথমবার শট নিতে পারেননি মার্টিনেজ। পরেরবার বল ফিরে পেয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। এই গোলের পর আরও বেশি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে ইন্টার। শেষ দিকের এলোমেলো ফুটবলে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মিলান।

ইউএইচ/

Exit mobile version