Site icon Jamuna Television

হাল্যান্ড গোল করবে নাকি ডি ব্রুইনা, এসব চিন্তা মাথায় ভিড় করলেও শান্ত আছি: আনচেলত্তি

রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ছবি: সংগৃহীত

পেপ গার্দিওলা ও কার্লো আনচেলত্তি- দুই কোচই চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের আগে বলেছিলেন, ফাইনালে কে যাবে তা নিষ্পত্তি হবে ম্যানচেস্টারে। আর সেটাই হতে যাচ্ছে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দেখা গেছে দুই দলের ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী’ প্রবণতা। গত চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের কথা আর এই মৌসুমে দুই দলের ফর্মের সাথে প্রথম লেগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইকে মনে রেখে বলাই যায়, আরও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্ল্যাসিকের জন্য অপেক্ষা কেবল রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকরাই করবে না, সে অভিন্ন অপেক্ষায় পর্দায় চোখ রাখতে যাচ্ছে লাখো কোটি ফুটবলপ্রেমী। সিটির দুর্ধর্ষ ফর্মের বিপরীতে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের চিরন্তন আধিপত্য- এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, হাল্যান্ড গোল করবে নাকি ডি ব্রুইনা, এসব চিন্তা মাথায় ভিড় করলেও শান্ত আছি। আমি আশাবাদী ও জয়ের ব্যাপারে বিশ্বাস করি। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডটকম ইউকে’র খবর।

কোপা দেল রে জিতলেও রিয়াল মাদ্রিদকে চলতি মৌসুমে হারাতে হয়েছে লিগ শিরোপা। সেটিও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে। তাই রিয়াল মাদ্রিদের ভরসা এখন চ্যাম্পিয়নস লিগ। যেখানে প্রথম লেগে ঘরের মাঠে পূর্ণ পয়েন্টের দেখা পায়নি দল। এবার সিটির মাঠে পাল্টাতে হবে পরিসংখ্যান। চোটের কারণে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার সার্ভিস রিয়াল পাবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে কোচ আনচেলত্তির বড় ভরসা দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দুই ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রদ্রিগো। আনচেলত্তি বলেন, এটি এমন এক ম্যাচ যা পেনাল্টি শুটআউটে যেতে পারে, তবে এ নিয়ে ভাবছি না। আমরা মূল ম্যাচেই জিততে চাই। এই ধরনের ম্যাচে বড় ব্যাপার হলো সাহস। এই পর্যায়ে ব্যক্তিগত ও দলীয় মানের দিকে থেকে দু’দলই সমানে সমান, তবে পার্থক্য গড়ে দেয় সাহস।

সবমিলিয়ে ১১ বার দেখায় সমান চারটি করে জয় দু’দলের। ড্র হয়েছে বাকি তিন ম্যাচ। তাই কাউকে এই মুহূর্তে এগিয়ে রাখাটা বেশ কঠিন। ম্যাচ পূর্ববর্তী প্রেস কনফারেন্সে রিয়াল কোচ বলেন, আগামীকাল ম্যাচ ডে। আর এটা এমন এক ম্যাচ যার আগে মাথায় ভিড় করে বিবিধ দুশ্চিন্তা; হাল্যান্ড গোল পাবে নাকি ডি ব্রুইনা আঘাত করবে। তবে এসব চিন্তাকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাচ্ছি। এখানে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত। সেমিফাইনালে খেলা আমাদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। ১৩ বছরের মধ্যে ১১ বারই এখানে এসেছি আমরা। এমন রেকর্ড করা সহজ নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের ইতিহাসের জন্য এই পর্যায়টি আমাদের কাছে উপভোগ্য। এই ক্লাবের পুরো ইতিহাস জুড়েই চ্যাম্পিয়নস লিগ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা জুড়ে আছে। এটা সেই ক্লাব যার আছে টিকে থাকার অবিশ্বাস্য শক্তি।

প্রথম লেগে দুই দলই ছিল অনেকটাই সমানে সমান। বলের দখলে ম্যানসিটি এগিয়ে থাকলেও কাউন্টার অ্যাটাকে ত্রাস ছড়িয়েছে লা ব্লাঙ্কোসরা। আনচেলত্তির ধারণা, তেমনটা ঘটতে যাচ্ছে এ যাত্রায়ও। তিনি বলেন, আমার মনে হয় না এবার খুব ভিন্ন কিছু হবে। দুই দলই হয়তো নিজেদের আরও কিছুটা সাজিয়ে নেবে। আমাদের এখনও উন্নতি করার জায়গা আছে। আমার ধারণা, প্রতিপক্ষও এমনটাই ভাবছে। ইউরোপের সেরা দুই দলের দেখা হচ্ছে। অনুমান করছি, প্রথম লেগের মতোই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘আমরা সবকিছু করবো, নিজেদের উজাড় করে দেবো’

/এম ই

Exit mobile version