Site icon Jamuna Television

সিরিয়ায় মানুষের শরীরে মৌমাছির হুল ফুটিয়ে চিকিৎসা

শরীরে মৌমাছির হুল ফুটিয়ে করা হচ্ছে মানুষের চিকিৎসা। সিরিয়ার একটি ক্লিনিকে দেখা মিলেছে এমন দৃশ্যের। ব্যথা উপশমসহ বেশ কয়েকটি চিকিৎসার জন্য দেয়া হচ্ছে মৌমাছির হুল থেরাপি। চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে মধুসহ পতঙ্গটির অন্যান্য উপাদানও। এরইমধ্যে এই চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা, বিষ প্রয়োগে স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা আছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

মৌমাছির কামড় খেয়ে মানুষ সাধারণত হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে যায়। অথচ সিরিয়ার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্যই মানুষের দেহে ফোটানো হচ্ছে মৌমাছির হুল।

২০১৫ সাল থেকে মানুষকে এই চিকিৎসা দিচ্ছেন ইসাম ওদাহ। যদিও তিনি একজন পশু চিকিৎসক। তবে দীর্ঘদিন এই পতঙ্গের বিষ নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। ত্বকের সমস্যা, বাত, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথাসহ কয়েকটি রোগের চিকিৎসায় তিনি দিচ্ছেন হুল থেরাপি। এছাড়া, মধুসহ পতঙ্গটির অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করেন তিনি। তার দাবি, এই থেরাপি যেমন উপকারী, তেমন সাশ্রয়ী।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

চিকিৎসক ইসাম ওদাহ বলেন, আমাদের প্রকল্পের লক্ষ্য শুধু থেরাপি দেয়ায় নয়। এটি সম্পূর্ণ একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। রোগীর শরীরে এক বা একাধিক হুল ফোটানোর পাশাপাশি আমি তাদের মধু ও পরাগের চিকিৎসাও দিয়ে থাকি। এই চিকিৎসা খুবই সাশ্রয়ী। আমরা আর্থিক লাভের চেয়ে রোগীর সুস্থতাকে বেশি প্রাধান্য দিই।

মৌমাছির বিষে রয়েছে এনজাইম, প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো উপাদান, যা ব্যথা উপশমে কাজ করে। এরইমধ্যে সিরিয়াজুড়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই প্রাকৃতিক চিকিৎসা। রোগীর চাপ সামলাতে ক্লিনিকের নতুন শাখাও খুলতে হয়েছে মালিককে। এক সেশনে আট থেকে ১০টি মৌমাছির হুল ব্যবহার করা হয়; যার ব্যয় ১০ হাজার লিরা।

খাদিজাহ মোউসিল্লি নামে এক রোগী জানান, বর্তমানে অন্যান্য পদ্ধতিতে চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি। এছাড়া, প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। মানুষ লাভবানও হচ্ছে। এ কারণেই এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। আমাকে কোনো ওষুধ খেতে হয়নি। শুধু একটি হুল ফুটিয়ে আর পরাগের ড্রপ মুখে নিয়েই আগের চেয়ে অনেক সুস্থ হয়ে উঠেছি।

অবশ্য, হাজার বছর পুরনো এই চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় চীনে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষ প্রয়োগে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা রয়েছে।

ইউএইচ/

Exit mobile version