
ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।
গ্রীষ্ম এলেই তীব্র খরায় ভয়াবহ পানি সংকটে ভোগে ভারতের অনেক এলাকার মানুষ। জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় পানির জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় তাদের। বর্তমানে তেমনই পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের তেলামওয়ারি গ্রামের। ৬ শতাধিক মানুষের ভরসা একটি মাত্র কুয়া। যেখানে প্রতিদিন পানি সরবরাহ করে রাজ্য সরকার। যদিও গ্রামবাসীর দাবি, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুব সামান্য। খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের।

চারদিকে ধূ ধূ মাঠ। এর মাঝে পানির উৎস একটি মাত্র কুয়া। যেখানে প্রতিদিন একবেলা সরকারিভাবে পানি সরবরাহ করা হয়। আশেপাশের কয়েকশ পরিবার ওই পানির ওপরই নির্ভরশীল। পানি সংগ্রহে তাই সকাল থেকেই রীতিমতো যুদ্ধে নামতে হয় ভারতের তেলামওয়ারি গ্রামের বাসিন্দাদের। গ্রীষ্মকালে নারী-পুরুষ-ছেলে বুড়ো সবাই একসাথে পানি সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় নামে।
বছরের মার্চ থেকে মে, এই তিনমাস ভয়াবহ পানির সংকটে ভোগে তেলামওয়ারির বাসিন্দারা। অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা ছাড়ায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুকিয়ে যায় নদী-কুয়াসহ পানির প্রায় সব সম্ভাব্য উৎস। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র ভরসা সরকারি ট্যাংকার। তবে তেলামওয়ারির ওই কুয়ায় ৬ শতাধিক বাসিন্দার জন্য প্রতিদিন পানি সরবরাহ করে মাত্র একটি ট্যাংকার।

তেলাওয়ারির স্থানীয় বাসিন্দা অশোক অ্যামি সিন্দে বলেন, সরকার আমাদের বলে বেশি বেশি পশুপাখি পালন করতে। কিন্তু এখানে আমরা নিজেরাই পানি পাই না, তাদের কী খাওয়াবো? প্রতিদিন ৬০০ গ্রামবাসীর জন্য মাত্র একটি পানির ট্যাংকার এখানে আসে। যদি, তাতে এক হাজার লিটার পানিও থাকে সেটাও কি যথেষ্ট এতোগুলো মানুষের জন্য?

লড়াই-যুদ্ধ করে প্রত্যেকে যে পরিমাণ পানি পান তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। বছরের পর বছর এমন পানির সংকটে ভুগছে ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য হিসেবে পরিচিত মহারাষ্ট্রের অন্তর্ভূক্ত এ গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, আশ্বাস দিলেও সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
তেলামওয়ারির স্থানীয় বাসিন্দা অশোক অ্যামি সিন্দে আরও বলেন, কোনো এলাকার পানির সংকট নিয়ে শুধুমাত্র মিডিয়ায় সংবাদ হলেই সরকারের টনক নড়ে। তখন দুটো করে ট্যাংকার পাঠায়। এরপর আবার ভুলে যায়, এই হচ্ছে পরিস্থিতি। নির্বাচন সামনে এলেই নেতারা এসে হাজির হয়, নানা আশ্বাস দেয়। এছাড়া আমাদের সমস্যা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই।
প্রসঙ্গত, তেলামওয়ারি গ্রামের মতো এমন ভয়াবহ পানি সংকটের চিত্র প্রতি গ্রীষ্মে ভারতের অনেক রাজ্যেই দেখা যায়।
/এসএইচ



Leave a reply