Site icon Jamuna Television

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক মাসের সময় চেয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম

ছবি: সংগৃহীত

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের কাছে এক মাসের সময় চেয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। রোববার (২১ মে) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, আমাকে দুইদিন আগে চিঠি দেয়া হয়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার আমার আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছি। দুদকের কাছে এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেছি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কতিপয় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে তলব করে দুদক। গত বুধবার দুদকের পক্ষ থেকে তাকে নোটিশ ইস্যু করা হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার সময় চেয়ে আবেদন করেন জাহাঙ্গীর।

চিঠিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কতিপয় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। বর্ণিত অভিযোগের নিয়মিত অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২১ মে সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীর আলমকে দুদক, প্রধান কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।

এ সময় গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, দুদককে ব্যবহার করে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে তাদের ডাকে না দুদক। তিনি আরও বলেন, কাজের পুরস্কার না দিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে তাকে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। মেয়র থাকাকালীন সরকারি সম্মানী ভাতাসহ কোনো সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেননি বলেও দাবি করেন জাহাঙ্গীর আলম। দুদকের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের লাখ লাখ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছি। মেয়রের পদের মেয়াদ পাঁচ বছর, মাত্র তিন বছরের মাথায় ঢাকা থেকে চিঠি দিয়ে অবৈধভাবে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধির জন্য কতটুকু আইন অনুসরণ করা হয়েছে, সে বিচার আপনাদের। তিন বছরে আমি সরকারের কাছ সম্মানী ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করিনি।

তিনি আরও বলেন, সরকার আমাকে দুটি প্রজেক্টে মাত্র ৬০০-৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু দুদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে আমার বিরুদ্ধে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা কী করে সম্ভব? এটা কাল্পনিক, বানোয়াট ও মিথ্যা। আমাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে। যারা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।

এর আগে, দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে ২১ ও ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক মাস বাড়ানোর আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের কোনো সময় এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করেনি দুদক। তবে বিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটি।

/এম ই

Exit mobile version