বাখমুত মূলত রাশিয়ার দখলেই গেছে, এমনটা স্বীকার করলেন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় পদাতিক বাহিনীর প্রধান ওলেক্সান্ডার সিরস্কি। অবশ্য কৌশলগত শহরের পতনের বিষয়টি এখনই সামনে আনতে চায় না জেলেনস্কি প্রশাসন। তাদের হুঁশিয়ারি, কয়েকগুণ শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে চালানো হবে অভিযান, গুড়িয়ে দেয়া হবে রাশিয়ার দম্ভ। এদিকে, উল্লাসের মাধ্যমে এই বিজয় উদযাপন করছে পুতিনের ঘনিষ্ঠ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপ। খবর এবিসি নিউজের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওয়াগনার গ্রুপের বাখমুত দখলের জয়োল্লাস। পুতিন ঘনিষ্ঠ ভাড়াটে সেনাদলটির প্রধান প্রিগোঝিন প্রকাশ করছেন এসব ছবি। শনিবারই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটি পুরোপুরি দখলের দাবি করে ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেছিলেন, বাখমুতে একজন ইউক্রেনীয় সৈন্যও জীবিত নেই। সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। চারপাশে শুধু ইউক্রেনীয় সেনাদের মরদেহ। বাখমুতের প্রত্যেক সীমান্ত, প্রত্যেক ইঞ্চি জায়গা বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মিথ্যাচার করছেন। কারণ-,রণক্ষেত্রে আসলেই কী ঘটছে সে সম্পর্কে তার বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই।
এদিকে, রণক্ষেত্রে লড়াইরত ইউক্রেনীয় কমান্ডার জেনারেল স্বীকার করছেন, বেশিরভাগ বাখমুত বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। তবে, শিগগিরই সেগুলোর পুনঃনিয়ন্ত্রণ নেয়া হবে বলেও দাবি তার।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর কর্নেল জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা বাখমুতের একটি ছোট্ট অংশে অবস্থান করছে। বাকি এলাকা মূলত রাশিয়ারই দখলেই। উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে হামলা চালিয়ে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে আমাদের সৈন্যদল। উঁচু স্থান থেকে হামলা চালানো হচ্ছে। তাই পুরো শহরটি কব্জার যে ছক সাজিয়েছে রাশিয়া সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন, তবে নিয়ন্ত্রণহীন নয়।
মূলত, টানা ২২৪ দিন বাখমুত ঘিরে লড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনীয় বাহিনী। অবশেষে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি করলো ওয়াগনার গ্রুপ। প্রায় ১৬ মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অন্যতম কেন্দ্র শিল্পনগরীটি। পশ্চিমাদের দাবি, ২০ থেকে ৩০ হাজার রুশ সেনা হতাহত হয়েছেন অঞ্চলটিতে।
এসজেড/

