Site icon Jamuna Television

অ্যালার্ম বাজলেই বার বার ‘স্নুজ’ করে ঘুমিয়ে পড়েন?

প্রতিদিন ফোনে অ্যালার্ম সেট করেই ঘুমাতে যান। অথচ সেই অ্যালার্ম বেজে বেজে বন্ধ হয়ে যায়। শেষে বাধ্য হয়ে শরীরটাকে টেনে-হিঁচড়ে বিছানা ছাড়তে বাধ্য করতে হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন অভ্যাস চলতে থাকলে তা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এটি শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সকালে অ্যালার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে ঘুম ভেঙে যায়, তার জন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

একাধিক বার অ্যালার্ম সেট না করা

রাতে শোয়ার আগে ফোনে একটার পর একটা অ্যালার্ম ‘স্নুজ’ করে রাখার অভ্যাস অনেকেরই আছে। ফলে ঘুম ভাঙলেই একটার পর একটা অ্যালার্ম বন্ধ করতে হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, যদি কেউ জোর করে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করেন, সে ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ে ‘সার্কাডিয়ান ক্লক’, অর্থাৎ শারীরবৃত্তীয় ঘড়িতে। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট চক্র রয়েছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। রাত করে ঘুমিয়ে অনেকেই সকাল সকাল ওঠেন। ফলে ঘুমের চক্র অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এতে শরীরের কার্যক্ষমতা অনেক কমে যায়। তাই এক বারের বেশি অ্যালার্ম সেট নয়।

হাতের কাছে ফোন না রাখা

ফোনে অ্যালার্ম সেট করে অনেকেই মাথার বালিশের নীচে রেখে দেন। সকালে অ্যালার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের চোখ চলে যায় ফোনের দিকে। অ্যালার্ম বন্ধ করে ঘুম চোখেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করার অভ্যাস যে ভালো নয়, তাও জানেন অনেকে। কিন্তু সেই অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে পারেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘুমের সময় হাতের কাছে ফোন না রাখাই ভালো। পারলে ফোন বন্ধ করে রাখুন।

ঘড়ি ব্যবহার করা

অ্যালার্ম যদি দিতেই হয়, তার জন্য বাজারে নানা রকম ঘড়ি পাওয়া যায়। প্রয়োজন হলে তেমন একটি ঘড়ি কিনে ফেলুন। ফোনের অ্যালার্ম বন্ধ করতে গিয়ে বার বার অন্য কিছুতে মন গেলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে। সময়ও নষ্ট হবে।

ইউএইচ/

Exit mobile version