Site icon Jamuna Television

‘রাশিয়ায় হামলা করলে ইঁদুরের মতো মারা হবে’

এখনও থমথমে রুশ সীমান্তবর্তী শহর- বেলগোর্দ। মস্কোর দাবি, রুখে দেয়া হয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের নাশকতার চেষ্টা। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭০ ইউক্রেনীয়; ধ্বংস করা হয়েছে চারটি সাঁজোয়া যান। ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্রদের ইন্ধনেই এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি রাশিয়ার। তবে, অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। খবর সিএনএনের।

কিছুদিন আগে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর বেলগোর্দে প্রবেশের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলো, দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন লিবার্টি অব রাশা লিজান ও রাশান ভলান্টিয়ার কোর। মূলত, গত মার্চেই চোরাগুপ্তা হামলার কারণে আলোচনায় ছিলো তারা। তবে ক্রেমলিনের দাবি, ভন্ডুল করা হয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের পরিকল্পনা। হত্যার পাশাপাশি ধ্বংস করা হয় হামলাকারীদের মার্কিন সাঁজোয়া যানও।

এ প্রসঙ্গে বেলগোর্দের গর্ভনর ভিয়াশেস্লাভ গ্লাদকভ বলেন, আমাদের শহরটা ফ্রন্টলাইনে। আজ না হলেও, ভবিষ্যতে হামলাটি হতোই। এখানকার পরিস্থিতি সবসময় শান্ত বা ঠিকঠাক ছিলো- এমনটাও বলবো না। তবে, প্রশাসনিক কিছু গাফিলতির কারণেই অনুপ্রবেশ করতে পেরেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। প্রাণ হারিয়েছেন এক গ্রামবাসী। এ ভুল থেকে শিক্ষা নিলাম। ভবিষ্যতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।

গত ১৫ মাস ধরে ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান। এর মাঝে, রাশিয়াকে কুপোকাত করতে, বহুবার চালানো হয়েছে নাশকতা। তবে বেলগোর্দে হামলা ছিল এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় উদ্যোগ।

এদিকে, পুতিন প্রশাসনের হুমকি, পিষে মারা হবে রাশিয়ার শত্রুদের। রুশ নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ তার সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে বলেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার বিষয়ে মিথ্যাচার করছে কিয়েভ। যারা শিকারীর বেশে হামলা চালাতে চায়; তাদের ফাঁদে আটকানো হবে না। সরাসরি, ইঁদুরের মতো মেরে ফেলা হবে। রাশিয়ার ওপর হস্তক্ষেপের এটাই একমাত্র শাস্তি।

এদিকে, শুরু থেকেই এ হামলায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করছে ইউক্রেন। আর নিজেদেরকে এ বিতর্ক থেকে দূরে রেখেছে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ প্রসঙ্গে বলেন, রাশিয়ার ভেতরে হামলার ব্যাপারে ইউক্রেনকে কখনই উৎসাহ বা উসকানি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবেলা করবে জেলেনস্কি প্রশাসন- এটা একান্তই তাদের ব্যাপার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মার্কিন অস্ত্র এবং সামরিক যানের সত্যতা নিয়েও সন্দেহ আছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমান্তবর্তী কজিঙ্কা গ্রাম সম্পূর্ণ মুক্ত করার দাবি জানায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এরপরই, সেখানে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালায় রাশিয়া। সরানো হয় বেসামরিকদের; চলাচলের ওপরও আরোপ করা হয় বিধিনিষেধ। রাশিয়ার দাবি, বাখমুতের পরাজয় ঢাকতেই বিশ্বের নজর সরানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন।

/এসএইচ

Exit mobile version