Site icon Jamuna Television

রাস্তার মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সংস্কার, পরস্পরকে দায় চাপাচ্ছে দুই দফতর

রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সড়ক উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এতে একদিকে যেমন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন পথচারীরা, অন্যদিকে দুর্ঘটনা শঙ্কা রয়েছে সার্বক্ষণিক। এতকিছুর পরও বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো অপসারণে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। উল্টো এলজিইডি ও পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার জুড়ানপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের মাঝখানেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয়েছে এ বিদ্যুতের খুঁটি। পরপর তিনটি খুঁটি সড়কের মধ্যে পড়লেও তোয়াক্কা না করেই শেষ হয়েছে সড়কের সংস্কার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আপত্তি জানালেও গুরুত্ব দেয়নি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান। তাড়াহুড়োতেই শেষ করা হয়েছে কাজ। এমনকি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।

এদিকে, সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউই। পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড বলছে, উন্নয়ন কাজের আগে বিষয়টি অবহিত করেনি এলজিইডি। চুয়াডাঙ্গা জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আয়েশা সিদ্দিকা সরকারের দাবি, বিষয়টি নিয়ে জানেনই না তিনি বা তার কার্যালয়ের কেউ।

খামখেয়ালির অভিযোগে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী। তবে দ্রুতই খুঁটিগুলো সরানোর আশ্বাস দিয়েছেন অন্য কর্মকর্তারা।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, তিনটি খুঁটি সরানোর জন্য যা খরচ হয় সেটি যোগ করে পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট দফতরে। সেখান থেকে বরাদ্দ পেলেই এ সমস্যা সমাধানের কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

দুই দফতরের মধ্যে সমন্বয় করে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে এরই মধ্যে কথা বলেছি আমি। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানানো হয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব দুই দফতরের মধ্যে সমন্বয় করে সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, দেড় কিলোমিটারের সড়ক সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা। এর সাথে এবার যুক্ত হবে এসব খুঁটি অপসারণের খরচও।

এসজেড/

Exit mobile version