Site icon Jamuna Television

‘মস্কোতে ড্রোন হামলা চালিয়ে ভয় দেখাতে চায় কিয়েভ’

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

ড্রোন হামলা চালিয়ে রাশিয়াকে ভয় দেখাতে চাইছে ইউক্রেন। মস্কোর আবাসিক এলাকায় ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন জানান, এসব হামলার মোক্ষম জবাব দিতে পরিকল্পনা হচ্ছে। অবশ্য ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র এসব ড্রোন হামলায় সম্পৃক্ততার দায় অস্বীকার করছে। কিয়েভের মতে, তাদের দিকে ছোড়া অস্ত্রই বুমেরাং হয়েছে রাশিয়ার জন্য। খবর বিবিসির।

হামলার শিকার মস্কো- এটাই এখন বিশ্ব গণমাধ্যমের জন্য বড় খবর। রাশিয়ার নিরাপত্তা বিভাগের সাথে যোগাযোগ রাখা টেলিগ্রাম চ্যানেল বাজা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ মে) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে অন্তত ২৫টি ড্রোন। যার মধ্যে, ১৫-১৭টি ভূপাতিত করার খবর নিশ্চিত করেছেন মস্কোর গভর্নর।

এ প্রসঙ্গে দেয়া তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়াকে ভয় দেখানোই ইউক্রেনের মূল উদ্দেশ্য। যথাসময়ে এসব হামলার জবাব দেয়া হবে বলে হুমকি দেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, বিকল্প পথে হাঁটছে কিয়েভ প্রশাসন। আবাসিক ভবন-বেসামরিকদের ওপর হামলা চালিয়ে রাশিয়াকে তারা ভয় দেখাতে চায়। এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। মস্কো’র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ সক্রিয়। এ কারণেই, বিপুল ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। তবে, এসব হামলার মোক্ষম জবাব ইউক্রেন অবশ্যই পাবে।

তবে এসব হামলার দায় সরাসরি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন প্রশাসন। তারা বলছে, কিছুটা হলেও যুদ্ধের আঁচ পেলো মস্কো। আর, নিজেদেরকে রাশিয়ায় হামলার ঘোর বিরোধী বলে সাফাই গেয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, দখলদারদের ধারণা যে তারাই এ মাঠের একমাত্র খেলোয়াড়। একটা সার্বভৌম দেশকে ধ্বংস করেও তারা শান্তি পাচ্ছে না। কিন্তু আদৌ কি ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটছে? পুরো বিশ্বকে যারা মাথা নত করতে বাধ্য করে; তারাই এখন কোনঠাসা। কিয়েভের দিকে ছোঁড়া অস্ত্রই বুমেরাং হয়ে মস্কোর দিকে ফিরছে।

এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউস মুখপাত্র ক্যারেন জ্যঁ পিয়েরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর ঘোর বিরোধী। এমনকি, মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে দেশটির ভূখণ্ডে অভিযান চালানোকে আমরা সমর্থন করি না। এ ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট। রণক্ষেত্রে লড়াইয়ের জন্য ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা দিতে রাজি। কিন্তু রাশিয়ার সাথে বিবাদে জড়াবো না।

প্রসঙ্গত, গত ৩ দিন যাবৎ কিয়েভে টানা ছোঁড়া হয় ড্রোন-রকেট ও মিসাইল। চলতি মাসেই ১৭বার হামলার শিকার হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী। দেশটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতেও অব্যাহত আছে রুশ আগ্রাসন।

/এসএইচ

Exit mobile version