Site icon Jamuna Television

সিগারেট-ভ্যাপের দাম বাড়বে, বিড়ি-জর্দা আগের মতোই

২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের সব কটির মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবও করা হয়েছে। এতে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। তবে, জর্দা-বিড়িতে নতুন করে কর বাড়ানোর প্রস্তা না করায় দাম আগের মতোই থাকবে।

নতুন অর্থবছরে সিগারেটে কর বাড়িয়ে বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে এবং ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে। শুরু হতে যাওয়া অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি। নিম্ন স্তরে মূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, মধ্যম স্তরে ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭, উচ্চ স্তরে ১১১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৩ এবং অতি উচ্চ স্তরে ১৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক ১ শতাংশ বাড়বে শুধু নিম্ন স্তরে। এতে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বেশি বাড়তে পারে।
বিড়ির প্রসঙ্গে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ২০২০–২১ অর্থবছরে বিড়ির দাম ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। তাই এবারের বাজেটে না বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া, তামাকজাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিন, ট্রান্সডার্মাল ইউজ নিকোটিন ইত্যাদি পণ্যের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইসের দাম বাড়তে পারে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এসব পণ্য এবং এর খুচরা যন্ত্রাংশের শুল্কহার সমান নয়। যন্ত্রাংশের শুল্কহার বাড়িয়ে মূল পণ্যের সমান, ২১২ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

/এমএন

Exit mobile version