Site icon Jamuna Television

কিছু এলাকার কোনো শ্রমিকই দুপুরের পর মাঠে কাজ করে না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।

১৫-২০ বছর আগেও আমরা দেখেছি, কৃষিশ্রমিকরা ভোরে সূর্য ওঠার সাথে সাথে কাজ শুরু করতো। শেষ করতো সন্ধ্যায়। কুমিল্লা, নরসিংদী, চান্দিনায় বিভিন্ন এলাকা আছে। সেখানে কোনো শ্রমিকই দুপুর ২টার পর মাঠে কাজ করে না। তারা ঘরে চলে যায়। তার অর্থ কী?

শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে দেশের মানুষের জীবিকা ও কর্মসংস্থান নিয়ে এমন কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, নাটোরে গিয়ে দেখেছি একটি গ্রামে অ্যালোভেরা চাষ হচ্ছে। কৃষকদের জিজ্ঞেস জানলাম, তারা সাড়ে তিনশো টাকা মজুরি পায়। দুপুর ২টায় ঘরে চলে যায়। ভাত খেয়ে নিজেদের জমিতে চাষ করে। নয়তো বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে গল্পগুজব করে। বাংলাদেশে বর্তমানে এই অবস্থা এসেছে। এটা আমার নিজের চোখে দেখা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা কম্বাইন্ড হারভেস্টর দিয়েছি। আগে কৃষিতে বেশি খরচ হতো সেচ, বীজ ও সারে। এখন খরচ বেশি হয় শ্রমিকের মজুরিতে। কারণ, শ্রমিকের মজুরি এখন বেড়ে গেছে। তাই কৃষি লাভজনক হচ্ছে না। এই সময়ে একজন কৃষিশ্রমিককে দিনে ৭-৮শ’ টাকা মজুরি দিতে হয়।

ড. আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, আমরা দেখেছি আশ্বিন-কার্তিক মাসে কৃষকদের ঘরতে খাবার থাকতো না। কচুঘেঁচু খেতো। তখন মরা কার্তিক। খেতমজুররা এসে বলতো, আমাকে খেতে দিবেন। আমি কাজ করে দিবো। আজ কিন্তু বাংলাদেশে সেই অবস্থা নেই। বেসরকারি খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সার্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়েছে। মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ জীবিকা হিসেবে কৃষিকে গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন: ‘যাদের টিআইএন আছে, তাদের ২ হাজার টাকা পরিশোধ করা কোনো কঠিন কাজ হবে না’

/এম ই

Exit mobile version