Site icon Jamuna Television

মন্দিরে ঈদের জামাত, মসজিদ হলো হিন্দু বন্যার্থদের আশ্রয়কেন্দ্র

হঠাৎ বন্যায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ভারতের কেরালা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। হাজার হাজার বাড়িঘর মিশে গেছে সমুদ্রে। স্কুল-মসজিদ-মন্দিরও ভেসে গেছে অনেক জায়গায়। মানুষের আশ্রয় দরকার। তাই যেখানে যে যাকে পারছেন আশ্রয় দিচ্ছেন।

এই দুর্যোগের সময়ে অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পে ভরে ওঠা ভারতে সব ধর্মের মানুষ যেন একে অন্যের ভাইবোনে পরিণত হয়েছেন। মসজিদ খালি করে মুসলিমরা তাদের হিন্দু প্রতিবেশিদের আশ্রয় দিচ্ছেন।

আবার আশপাশের সব মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হিন্দুরা তাদের মন্দির খুলে দিয়েছেন ঈদের জামাতের জন্য। রাজ্যের মালাপুরাম জেলাটি ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, সেখানে খুবই কমই অবকাঠামো রয়েছে যেগুলোতে মানুষজন আশ্রয় নিতে পারছেন।

জেলার চালিয়ার গ্রামের জুমা মসজিদটিকে তাই স্থানীয়রা ত্রাণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। মসিজদে এখন ৭৮ জন আশ্রয়প্রার্থীর বেশিরভাগ লোকজনই হিন্দু নারী পুরুষ ও শিশু। প্রতিবেশি মুসলমানরাই তাদের জন্য খাবার প্রস্তুত করে দিচ্ছেন।

মালাপুরামের অন্য এলাকায় খবর পাওয়া গেছে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মুসলিম যুবকরা হিন্দুদের বিভিন্ন পবিত্র জায়গার সংস্কার কাজ করছেন।

নিউজ এইটিন নামে ভারতের আরেকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার ঈদের জামাতের সময় স্থানীয় মসজিদ পানির নিচে থাকায় কেরালার ইরাভাতুর এলাকার মন্দির খুলে দেয়া হয়। পুরাপিলিক্কাভ রাকতেশ্বরী মন্দিরের ভেতরের হল রুমটি কিছুক্ষণের জন্য ইদগাহের রূপ ধারণ করে।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষের বাস। তাদের মধ্যে ১ কোটির বেশি মুসলমান।

Exit mobile version