Site icon Jamuna Television

বাতির অভাবে পূর্বাচল তিনশো ফুট সড়ক যেন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য

পূর্বাচল তিনশ’ ফুট সড়কে সড়ক বাতির অভাবে অস্বস্তিতে পথচারী-যাত্রীরা। রাত হলেই দৃষ্টিনন্দন সড়ক হয়ে যায় ভুতূড়ে এলাকা। অন্ধকারে চলতে দুর্ঘটনা যেমন হয়, তেমনি ছিনতাইকারীদের কবলে সর্বস্ব হারাচ্ছেন অনেকে। প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ার পরও অন্ধকার দূর করতে মনোযোগ নেই কর্তৃপক্ষের। আবাসন প্রকল্পের বাইরে রাজউকের সবচেয়ে বড় এই উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে তবুও আশাবাদি মানুষ।

পূর্বাচল এলাকায় মোটরসাইকেল ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে জীবনটাই হারাতে বসেছিলেন সোহেল রানা। শেষ পর্যন্ত অক্ষত ফিরেছেন। তবে ভয়াবহ সেই সময়ের স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাকে।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সোহেল বলেন, ডান দিকে থেকে একটা বাইক আমাকে ঢাক্কা দেয়ার পর আমার বাইকটা একটু কাত হয়ে যায়। তারপর তারা তিনজনের দুইজন হাতে লাঠি ও চাইনিজ চাপাতি নিয়ে বাইক থেকে নেমে এসে বলে বাইকে ঢাক্কা দিলি কেন? এরপর তারা আমাকে কোপানো শুরু করে। এরপর তারা আমাকে পিটিয়ে আমার বাইকটা নিয়ে চলে যায়।

পূর্বাচল তিনশ ফিট সড়কে সোহেল রানার মতো ভুক্তভোগী অনেকেই। ঘুটঘুটে অন্ধকার সড়ক হয়ে ওঠে ছিনতাকারীদের অভয়ারণ্য।

প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সড়কে কোথাও নেই একরত্তি আলো। বহুলেনে ছুটে চলা যানের গতি থমকে যায় এমন অন্ধকারে। দুর্ঘটনাও ঘটে প্রায়ই।

এই সড়কে যে বাতিগুলো লাগানো হচ্ছে, সেগুলো থাইল্যান্ডের তৈরি। একেকটির ওজন সাড়ে ১৪ কেজি। অল্প অল্প করে যা লাগানো হচ্ছে রাস্তার দু’ধারে। শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০টি সড়ক বাতি লাগাতে পারেন তারা।

কবে নাগাদ শেষ হবে কাজ? কবে ফিরবে আলো? সে উত্তর জানতে কয়েক দফা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও মেলেনি উত্তর।

এটিএম/

Exit mobile version