Site icon Jamuna Television

উদ্বোধনের ৪ বছর পার, চালু হয়নি ঝিনাইদহের ওরাল স্যালাইন ফ্যাক্টরি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে নির্মাণের দীর্ঘদিন পরও চালু হয়নি ওরাল স্যালাইন ফ্যাক্টরি। ফলে খাবার স্যালাইনের সুবিধা থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ তেমনি অযত্ন আর অবহেলায় ঝোপঝাড় আর আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে ফ্যাক্টরিটি। নষ্ট হচ্ছে ভবনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, শহরের মদনমোহনপাড়ায় নির্মাণ করা হয় ওরাল স্যালাইন ফ্যাক্টরি। ঝিনাইদহ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে স্যালাইনের চাহিদা পূরণে ৯৮ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালে এটির কাজ শুরু হয়। আর ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পড়ে থেকে ফ্যাক্টরিটি যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি রাতে বখাটেদের ও নেশাখোরদের আড্ডা স্থানে পরিণত হয়েছে। তাই অতিদ্রুতই যেন প্রতিষ্ঠানটি চালুর ব্যবস্থা করা হয়।

ঝিনাইদহ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সভাপতি আবু তাহের জানান, পানি শূন্যতা পূরন কিংবা ডায়রিয়া রোগে নিতান্তই প্রয়োজন হয় ওরাল স্যালাইন। ভিতরে বিদ্যুতের তার, ফ্যান লাইট এর ব্যবস্থা থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে সেগুলোও নষ্ট হতে চলেছে। এমন অবস্থায় পড়ে থাকলেও ফ্যাক্টরিটি চালু করতে নেই স্বাস্থ্য বিভাগের কোন উদ্যোগ। জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবেই যদি ফ্যাক্টরিটি তৈরি হয় তাহলে কেন চালু হচ্ছে না।

এলাকাবাসী রহমান মন্ডল জানান, সেই শুরু থেকেই অযত্ন, অবহেলায় পড়ে আছে স্যালাইন ফ্যাক্টরি। ভবনের চারপাশে ভরে গেছে ঝোপ-ঝাড়ে, ভিতর ও বিভিন্ন কক্ষে সৃষ্টি হয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। ভেঙে যাচ্ছে দরজা-জানালা। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দ্রুুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন ডা: রাশেদা সুলতানা জানান, জেলায় প্রতি মাসে ওরাল স্যালাইনের চাহিদা ১ লক্ষ (এক লক্ষ) প্যাকেট যার সব-ই যশোর থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু ঝিনাইদহের এই স্যালাইন ফ্যাক্টরি চালু হলে জেলার চাহিদা পুরণ করে অন্যান্য জেলায়ও ওরাল স্যালাইন সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, লোকবলের অভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালু করা যাচ্ছে না। যদি সরকার পদ সৃজন করে লোকবল নিয়োগ দেয় তাহলে দ্রুতই প্রতিষ্ঠানটি চালু করা সম্ভব হবে।

Exit mobile version