Site icon Jamuna Television

ভাত না রুটি, ওজন ঝরাতে কোনটি খাবেন?

আমাদের জীবনযাপন ও অভ্যাসের কারণে স্থূলতা একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ডায়েটের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে। তবে ডায়েট করার ক্ষেত্রে প্রথমেই যে প্রশ্ন তৈরি হয় তা হলো, ভাত নাকি রুটি, খাবারের তালিকায় কোনটি রাখবো? আর এ প্রশ্ন চলে আসছে বহু আগে থেকেই।

স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথসট বলছে, ভাত এবং রুটি উভয়েরই ভিন্ন ভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই ওজন ঝরাতে দুটিই বেশ কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। কোনো একটি খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলেই বরং বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে। তাই সবগুলিই যদি অল্প পরিমাণে খাবারের তালিকায় রাখা যায়, তাহলে ওজন হাতের মুঠোয় রাখা খুব একটা শক্ত হবে না।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যারা সারা সপ্তাহে রুটি খান, সাধারণত সপ্তাহের একদিন ভাত খেয়ে থাকেন। অবশ্য পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এটি ভুল নিয়ম। সপ্তাহে চার দিন রুটি খেলে দু’দিন ভাত খেতেই হবে। অবশ্য দুটির মধ্যে যেকোনো একটিকে যদি বেছে নিতেই হয়, সে ক্ষেত্রে রুটিই ভালো। যাদের স্থূলতা ও ডায়াবেটিস উভয় সমস্যাই আছে, রুটিই হতে পারে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো পছন্দ।

বলা হচ্ছে, রুটি এবং ভাত দুটির মধ্যেই কার্বোহাইড্রেট আছে। তবে রুটির মধ্যে এছাড়াও আছে ফাইবার এবং প্রোটিন, যা চাল তথা ভাতের মধ্যে খুবই কম পরিমাণে থাকে। শর্করা মূলত খুব দ্রুত হজমে সহায়তা করে। ফলে ভাত খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আপনি আবারও ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন এবং এভাবেই বার বার কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ ও শরীর চর্চার অভাবেই তৈরি হয় স্থূলতা।

তবে রুটিতে থাকা ফাইবার আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তরতাজা রাখবে, ঘনঘন ক্ষুধা লাগার প্রবণতাও থাকবে না। আর এ জন্যই ভাত ও রুটি মধ্যে রুটিকে ওজন ঝরানোর জন্য বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।

তবে রুটি খেলে ওজন একেবারেই বাড়ে না এ ধারণাও ঠিক নয়। অবশ্য গমের রুটির চেয়ে রাগি, জোয়ার, বাজরা দিয়ে তৈরি রুটি ওজন কমানোর জন্য বেশি উপকারী। কারণ এগুলোর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম থাকে। ফলে শরীরে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পায় না।

মোট কথা হলো, ভাত ও রুটির দুয়েরই পুষ্টিগুণ থাকলেও ওজন ঝরাতে বেশি কাজে দেয় রুটি খাওয়ার অভ্যাস। তাই বলে ভাত খাওয়া একেবারে ছেড়ে দেয়াও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। অবশ্য চূড়ান্তভাবে ডায়েটে যাওয়ার আগে প্রথমেই কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

এসজেড/

Exit mobile version