Site icon Jamuna Television

মানুষের টিকে থাকার ক্ষমতা যাচাই করতে পানির নিচে ১০০ দিন কাটালেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

স্কাই নিউজ থেকে সংগৃহীত ছবি।

পানির নিচে ১০০ দিন কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক ড. জোসেফ দিতুরি (৫৫)। অবশ্য, এ ১০০ দিন তিনি ব্যস্ত ছিলেন গবেষণা নিয়ে। তার গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিলো- চিকিৎসা শাস্ত্র ও জলজ গবেষণাকে সংযুক্ত করা। মানুষ প্রতিকূল পরিবেশে কতোদিন থাকতে পারে- সেটা দেখাই ছিলো ড. জোসেফের উদ্দেশ্য। খবর স্কাই নিউজের।

শুক্রবার (৯ জুন) মুহূর্মুহূ করতালির মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে স্বাগত জানানো হয়, ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোসেফ দিতুরিকে।

ভূপৃষ্ঠে ওঠার পর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গেছে, দীর্ঘসময় সূর্যের আলো না পাওয়ায় পরিবর্তিত হয়েছে শুধু ড. দিতুরির ত্বকের রঙ। এছাড়া তার আর তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা খুঁজে পাননি চিকিৎসকরা। মূলত, প্রতিকূল পরিবেশে মানবজাতি কতোটা সময় টিকে থাকতে পারে- এটাই ছিলো দিতুরির গবেষণার বিষয়।

প্রোজেক্ট নেপচুন১০০ এর গবেষক ড. জোসেফ দিতুরি বলেন, ১০০ দিন পর পানির বাইরে এসে সবচেয়ে উপভোগ করছি সূর্যের তাপ। এমন রেকর্ড কখনই হয়নি। এটা অনেকটা সীমানা অতিক্রমের মতো বিষয়। এ গবেষণার মাধ্যমে পানির নিচে মানুষের সহনশীলতার মাত্রা আর বিচ্ছিন্ন-সীমাবদ্ধ ও প্রতিকূল পরিবেশে কীভাবে টিকে থাকা সম্ভব সেটিই পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।

অবশ্য, এ সময় শুধু পানি আর জীবজগৎ নিয়েই গবেষণা করেননি ড. দিতুরি। জানা গেছে, কি লারগো লেকের নিচে ছিলো তার ১০০ বর্গফুটের একটি বাংকার। পানির ৩০ ফুট গভীরে থাকা এ বাংকারে ছিলো শোবার ও বসার আলাদা দুটি ঘর। ছোট্ট রান্নার জায়গায় সারতেন খাবারের আয়োজন। এমনকি, মেডিকেল টিম এবং শিক্ষার্থীরা মাঝে-মাঝে সেখানে গিয়ে তার সাথে দেখাও করতেন।


ড. জোসেফ দিতুরি আরও বলেন, এ অভিযানের সবচেয়ে আনন্দময় অংশ ছিলো, অন্তত ৫ হাজার শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ। সামুদ্রিক পরিবেশের সংরক্ষণ, সুরক্ষা এবং সেগুলোর পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে নতুন প্রজন্মকে জানাতে পেরেছি অনেক নতুন তথ্য। কিছুদিনের মধ্যেই আবারও পানিতে ফিরে যাবার পরিকল্পনা আছে। ততোদিন পরিবার-প্রিয়জনের সাথে সময় কাটাতে চাই।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক নিয়েছিলেন একই উদ্যোগ। সে বার তারা পানির নিচে ছিলেন টানা ৭৩ দিন।

/এসএইচ

Exit mobile version