Site icon Jamuna Television

পাল্টাপাল্টি হামলায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি

ছবি: সংগৃহীত

পাল্টাপাল্টি হামলায় আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। ফ্রন্ট লাইনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করছে দু’পক্ষই। খবর এপি নিউজের।

গত এক সপ্তাহে ইউক্রেনের সাড়ে ৭ হাজার সেনা হতাহতের দাবি করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে মস্কোর শক্ত প্রতিরোধ লাইন ভেঙে পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ১০০ কিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে কিয়েভ।

সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। কৃষ্ণ সাগরীয় শহর ওডেসায় জাহাজ থেকে ছোঁড়া হয়েছে চারটি কেএইচ-২২ ক্ষেপণাস্ত্র। রাতভর মিসাইল ও গোলাবর্ষণে প্রাণ গেছে তিন জনের। আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। এছাড়া বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রুশ সীমান্তবর্তী এলাকাতেও চলে হামলা। মৃত্যু হয় ৬ জনের। দোনেৎস্কের ক্রেমিনায় ইউক্রেনের ৪টি বড় হামলা ঠেকানোর কথাও জানিয়েছে পুতিন বাহিনী। রাশিয়ার দাবি, মস্কোর তুলনায় ১০ গুণ বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিয়েভের।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকোভ বলেন, সাগর ও আকাশপথে যৌথভাবে বড় হামলা হয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনা ও মার্সেনারিদের ঘাঁটি টার্গেট করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী ব্যর্থ মিশন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের লোকবল ও অস্ত্র সরঞ্জামের অভাব স্পষ্ট। যুদ্ধক্ষেত্রে ধরাশয়ী হচ্ছে তারা।

রুশ বাহিনীর প্রতিরক্ষা লাইন ভেদ করে আরও অগ্রসরের দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, পূর্ব ও দক্ষিণে ১২০০ কিলোমিটার এলাকায় এগিয়েছে কিয়েভের সেনারা। পুতিন বাহিনীর মিসাইল উৎপাদন ঠেকাতে বিশ্ববাসীকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, ওডেসায় আরও একবার ক্যালিবার মিসাইল ছুঁড়েছে রাশিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্রের কাঁচামাল অন্য দেশ থেকে আসে। প্রত্যেকটি সরবরাহ লাইন সন্ত্রাসবাদকে শক্তিশালী করছে। তাই মস্কোর মিসাইল উৎপাদনে সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ করছি।

এদিকে ফ্রন্ট লাইনে তীব্র লড়াইয়ের জেরে জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শন কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার পরিচালক।

এএআর/

Exit mobile version