মিরপুরে ২ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে আফগানিস্তান। ৪র্থ দিনের প্রথম সেশনেই একের পর এক আফগান ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নে পাঠাতে থাকেন এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামরা। টাইগার পেসারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার (১৭ জুন) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের শুরুতেই আফগানিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার পেসার এবাদত হোসেন। গুড লেন্থের বল লাফিয়ে নাসির জামালের ব্যাট ছুঁয়ে যায় উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা লিটন দাসের গ্লাভসে। ২২ বলে ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাসির।
এরপর ৬৫ রানের মাথায় শরিফুলের শিকার হন আফসার জাজাই। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল খোঁচা মেরে গালিতে মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দী হন আফগানিস্তানের এ উইকেটরক্ষক। ১২ বল থেকে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন জাজাই।
আফগান ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে এবার যোগদান করেন হাশমতউল্লাহ শাহীদির কনকাশন সাব হিসেবে নেয়া বাহির শাহ। শরিফুলের মিডল স্টাম্পে পিচ করা বাউন্সার লাইন ধরে রেখে বেরিয়ে যাচ্ছিলো অফ স্টাম্প দিয়ে। ব্যাট এগিয়ে খোঁচা মারেন বাহির শাহ। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। বল চলে যায় থার্ড স্লিপে দাঁড়ানো তাইজুল ইসলামের হাতে। ১৩ বলে ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অভিষিক্ত বাহির।
এরপর আক্রমণে এসেই আফগান শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। প্রতিরোধ গড়ে তোলা রহমত শাহকে সাজঘরে ফেরান এ টাইগার স্পিড স্টার। তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব লেন্থের ডেলিভারি খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন রহমত। ২ চারে ৭৩ বলে ৩০ রান করেন এই আফগান ব্যাটার।
রহমতের পর করিম জানাতকেও ফেরান তাসকিন আহমেদ। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারি সাঁই করে ভেতরে ঢুকে যায়। সময়মতো ব্যাট নামাতে পারেননি করিম জানাত। উপড়ে যায় তার অফ স্টাম্প। একশ’র আগে ৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের দুয়ারে বাংলাদেশ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান। ক্রিজে দুই অপরাজিত ব্যাটার আমির হামজা হোতাক আছেন ৫ রান নিয়ে এবং ইয়ামিন আহমাদজাই আছেন ১ রান করে।
/আরআইএম

