Site icon Jamuna Television

বাবা দিবস আজ

ছবি: সংগৃহীত

সাইফুদ্দিন রবিন, ঢাকা:

বাইরে উজ্জ্বল হাসিমুখ, ভেতরে উদ্বিগ্ন একজন। যেখানে সন্তান, পরিবারের সকলকে নিয়ে এগিয়ে যাবার প্রবল ইচ্ছে। তিনিই তো বাবা। যিনি কখনো রাশভারী রূপে, কখনো স্নেহ-মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে রাখেন সবাইকে। বাবা, সন্তানের কাছে তাই সুপার হিরো। এই বাবারও থাকে, নিজের বাবাকে নিয়ে কত আনন্দ বেদনার স্মৃতি। কেউ কেউ সেই স্মৃতিকে যত্নে লালন করেন। কেউবা ভুলে থাকেন নিজ বাবার কথা, বাস্তবতার নানামুখী কঠিন চাপে।

বাবাকে নিয়ে সন্তানের অনুভূতি চিরকালীন। আজকের সন্তান অনেক বেশি সচেতন চোখে দেখতে পায় একজন বাবার লড়াইয়ের দিনগুলো। কিন্তু বাবার যাপিত জীবন আসলে কতটা দৃশ্যমান?

রাজধানীর রাস্তায় দেখা মিললো, বিক্রমপুর থেকে ঢাকায় এসে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত ৭২ বছর বয়সী এক বাবা। দুই কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন। পড়াশোনা করিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েও। কিন্তু তাদের চাকরি মেলেনি এখনও। তাই তো ভীষণ আক্ষেপে কথা বলতে-বলতে গলা আটকায়। নিজের বাবাকেও তিনি হারিয়েছিলেন সেই ছোটবেলায়। স্মৃতি নেই কিছু। শুধু মনে আছে একসময় মাকে নিয়ে, আর এখন স্ত্রী আর দুই কন্যার ভবিষ্যৎ ভাবনা এই বৃদ্ধ বয়সেও বিচলিত করে তাকে।

বাবা তো শীতল পরশই। বৃক্ষের ছায়া কিংবা তপ্ত দিনে হাল্কা হাওয়াও ততটুকু সুখ দেয় না, যতটা মিলে বাবার ছোঁয়ায়। এই ব্যবসায়ী তাই প্রয়াত বাবার সুখস্মৃতিটুকু সঙ্গে নিয়ে, সন্তানের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার মাঝেই খুঁজে পান আনন্দ; জীবনের মানে।

পথে পথে শ্রমজীবী-পেশাজীবী বাবাদের ঢল। ঘর থেকে বেরিয়ে তার যে চলার শুরু, ঘরে ফেরার আগ পর্যন্ত সবটুকুই শুধু সন্তানের জন্য। বাবাদের কাছে সন্তান কি, সব বাবা হয়তো তা প্রকাশ করতে পারেন না। কিন্তু এই ব্যস্ততম আর পরিবার ভেঙে যাওয়া সময়েও, আজকের সন্তান শেষ সময় পর্যন্ত বাবা-মায়ের পাশে থাকার সুতীব্র বাসনা যত্নে পোষে। জগৎময় সব বাবারই চাওয়া, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’।

এএআর/

Exit mobile version