Site icon Jamuna Television

চুলের আগা ফেটে যাচ্ছে? মানতে পারেন ৫ টোটকা

শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাব থাকায় চুলও রুক্ষ থাকে বেশির ভাগ সময়। তাই চুলের ফাটা ডগাগুলো বেশি চোখে পড়ে। গরমে এই সমস্যা ততটা চোখে পড়ে না। তবে অনেক সময় গোড়া থেকে চুল না উঠে এই ফাটা অংশ থেকে ঝরে পড়ে। তবে সহজ কিছু টোটকা ব্যবহারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

নিয়মিত ট্রিম করা:

অনেকেই বলেন নির্দিষ্ট সময় পরপর চুল কাটলে চুলের এই সমস্যা এড়িয়ে চলা যায়। অনেকে আবার চুল কাটার পর সেই কাটা অংশে নারকেল তেলও মেখে রাখেন। যার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।

চুলে ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার:

রান্নাঘরের কিছু সহজলভ্য সামগ্রী দিয়ে অনায়াসেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই প্যাক। দুই টেবিল চামচ টক দই, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। সাথে ডিমের কুসুমও মেশাতে পারেন। চুলের ডগা ফাটা রোধ করতে এটি যেমন কার্যকর, ঠিক তেমনই চুল মোলায়েম করতেও সাহায্য করে এই প্যাক।

ভেজা চুলের ক্ষেত্রে সতর্কতা:

গোসলের পর তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চুল ঝাড়বেন না। চুল থেকে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চেপে চেপে পানি মুছে নিতে পারেন। গেঞ্জি কাপড় হলে সব থেকে ভালো। চুলে বেশি সময় ধরে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখাও উচিত নয়। চুল মোছার জন্য মাইক্রোফাইবারজাতীয় তোয়ালেও ব্যবহার করতে পারেন।

চুলে তাপ না লাগানো:

প্রতিদিন হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোনো চুলের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায় ড্রায়ারের তাপের কারণে। ধীরে ধীরে চুল লাল হয়ে ফেটে যায়। নিতান্তই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে হলে চুলে অবশ্যই হিট প্রোটেক্টর ব্যবহার করুন। কার্লার, স্ট্রেটনার বা ক্রিম্পারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।

চুলে গরম পানি না লাগানো:

গরম পানিতে গোসল করলে চুলের আর্দ্রতা হারাতে থাকে। যার জেরে রুক্ষ হয়ে চুল ফেটে যায়। ঠান্ডা লাগলে বরং হালকা গরম পানিতে করুন। তবে গোসলের শেষে চুলে ঠান্ডা পানি ঢেলে নিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে হবে। এতে চুলের ডগা ফাটা রোধ হবে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

এসজেড/

Exit mobile version