Site icon Jamuna Television

চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতালে ভর্তি

ছবি: প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

চুয়াডাঙ্গার দর্শনার নাস্তিপুর গ্রামে পাঁচ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তানভীর (১৯) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বেলা ১২টার দিকে অভিযুক্তের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক তানভীর গা ঢাকা দিয়েছে। তানভীর নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, শিশু মেয়েটি গ্রামের একটি বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ে। তার পাশের বাড়ির দূরসম্পর্কের চাচাতো ভাই তানভীর তাকে ফুসলিয়ে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে শিশুটির গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। শিশুটি বাড়ি গেলে তার পরিবারের লোকজন রক্তক্ষরণ দেখে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আকলিমা খাতুন বলেন, ধর্ষণের ফলে শিশুটির যৌনাঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হলে দ্রুত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেলাই দিয়ে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, শিশুটির অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক ছিল, একটু দেরি হলে আর হয়তো বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। চব্বিশ ঘণ্টা পার না হলে কিছু বোঝা যাবে না।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। খবর পাওয়ার পর হাসপাতালে গিয়ে শিশুটিকে দেখেছি। ডাক্তারদের সাথে কথা বলেছি যাতে তার চিকিৎসার কোনো ত্রুটি না হয় এবং চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। অভিযুক্ত তানভীর ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে ধরার জন্য পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নেমেছে।

তিনি বলেন, সে বিদেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল বলে খবর পাওয়া গেছে। আমরা তার পাসপোর্ট নং সকল ইমিগ্রেশন অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। যাতে সে কোনোভাবেই পালিয়ে না যেতে পারে। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

এটিএম/

Exit mobile version