Site icon Jamuna Television

‘চ্যাম্পিয়ন হবার সব রসদই আছে টাইগারদের’

ছবি: সংগৃহীত

১৯৯৬’র বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার মতো এবারের বিশ্বকাপে চমক দেয়ার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের। চ্যাম্পিয়ন হবার সব রসদই আছে টাইগারদের। এমন বিশ্বাস লঙ্কানদের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হাশান তিলকারত্নে। এজন্য বিশ্বাসটা জরুরি বলেও মত তার। বর্তমানে বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা তিলকারত্নে স্বপ্নবাজ জ্যোতি-রুমানাদের নিয়েও। বলছেন-ভারত সিরিজটাই হতে পারে টার্নিং পয়েন্ট।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ নারী দলের বিশেষ স্পিন ক্যাম্প। রোববার (২৫ জুন) দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন তিলকারত্নে।২০২৩ সালের বিশ্বকাপের বাকি আর ক’মাস। হাথুরুসিংহে যখন তৈরি করছেন শিষ্যদের তখন তিলকারত্নে দেখছেন কাছ থেকেই। তার কাছেই প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশকে এবার ফাইনাল খেলতে পারবে?

এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই! হ্যাঁ! আপনি যদি নামগুলো দেখেন, শিরোপার দাবিদার দলগুলোর মধ্যে একটি। পুরো পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপ জেতার জন্য তাদের দলে সব ধরনের উপকরণ আছে। তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং একসঙ্গে থেকে একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। আমি নিশ্চিত, এই দলের বিশ্বকাপ জেতার সব উপকরণ আছে।

৯৬ বিশ্বকাপেও মাঝারি মানের দল নিয়েও বাজিমাত করেছিলেন অর্জুনা রানাতুঙ্গার দল। সেবারের মতো এবারের কন্ডিশনও এক। তিলকারত্নের কাছে তাই তো ফিরে আসছে ২৭ বছর আগের স্মৃতি।

৫৫ বছর বয়সী এই শ্রীলঙ্কান বলেন, ক্রিকেট খুবই অনিশ্চয়তার খেলা। ১৯৯৬ সালে কেউ আশা করেনি আমরা জিতবো। তবে যা-ই হোক, এখানে বিষয়টা হলো নির্দিষ্ট দিনে সেরা ক্রিকেটটা খেলা। আমি যেমনটা বললাম, এই দলটি (বাংলাদেশ) খুব ভালো। তরুণ ও অভিজ্ঞ মিলে ভালো দল। তারা যদি কন্ডিশন বুঝতে পেরে একসঙ্গে খেলতে পারে, (বিশ্বকাপ) জেতার ভালো সুযোগ রয়েছে।

এ সময় নারীদের আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি নিয়েও কথা বলেছেন তিলকরত্নে। সামনে ব্যস্ত সূচি মাথায় রেখে নিজেদের প্রস্তুত করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মাত্রই আমাদের অনুশীলন শুরু করেছি। কয়েকজনের ব্যক্তিগত সেশন চলছে। এ ছাড়া স্পিনারদের নিয়ে একটি ক্যাম্প করছেন স্পিন কোচ। ভারত সিরিজের ক্যাম্প শুরু করবো ১ জুলাই। আমার মতে, অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে একটি শক্তিশালী দল রয়েছে আমাদের। প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে ব্যস্ত সূচি রয়েছে। ভারত আসছে, এশিয়ান গেমস আছে, পাকিস্তান আসবে। এসব কঠিন চ্যালেঞ্জে প্রক্রিয়া ঠিক রেখে সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে, মেয়েদের ঠিকভাবে আগলে রাখলে ইতিবাচক ফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

/আরআইএম

Exit mobile version