Site icon Jamuna Television

ওশানগেটের ওয়েবসাইটে এখনও টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার বিজ্ঞাপন

ডুবে যাওয়া জাহাজ টাইটানিক দেখতে গিয়ে আটলান্টিকের অতলে সলিল সমাধি হয়েছে ধনকুবের ৫ পর্যটকের। এরই মধ্যে সাবমারসিবল টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে আটলান্টিকের গভীর থেকে। সেখানে মিলেছে যাত্রীদের দেহাবশেষও। এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তদন্ত। এরই মধ্যে ডুবোযান পরিচালনা সংস্থা ওশানগেটকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। এই সংস্থার সাবমারসিবল টাইটানে চড়েই আটলান্টিকের গভীরে ডুবে থাকা টাইটানিক দেখতে গিয়েছিলেন ওই পর্যটকরা।

সংবাদমাধ্যম ইনসাইডারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইটানে চড়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইটে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ প্রকাশ করেছিল ওশানগেট। সেখানে আগামী বছরের পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং খরচ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বলা হয়েছিল। তবে গত ১৮ জুন এই সংস্থার ভ্রমণ প্যাকেজ নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান ৫ পর্যটক। অথচ এতবড় দুর্ঘটনার পর সেই বিজ্ঞাপন এখনও ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়নি ওশানগেট কর্তৃপক্ষ। ফলে ২০২৪ সালের ভ্রমণ প্যাকেজ এখনও দেখা যাচ্ছে এই ডুবোযান পরিচালনাকারী সংস্থাটির ওয়েবসাইটে। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে দুটি ভ্রমণ পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথমটি পরিচালিত হবে ১২-২০ জুন এবং দ্বিতীয়টি ২১-২৯ জুন। প্রতিটি ভ্রমণ প্যাকেজের জন্য পর্যটকদের গুনতে হবে আড়াই লাখ ডলার বা আড়াই কোটি টাকা। এই প্যাকেজের মধ্যে আছে, সাবমিসিবল ডাইভ, ব্যক্তিগত বাসস্থান, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম এবং সাবমারসিবলে থাকা অবস্থায় সমস্ত খাবারের জোগান।

সেখানে বলা হয়েছে, এই ভ্রমণের জন্য প্রথমে যাত্রীরা কানাডার সমুদ্র তীরবর্তী শহর সেন্ট জনসে পৌঁছাবেন। সেখান থেকেই সাবমারসিবলে চড়ে যাওয়া যাবে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে।

এর আগে টাইটান নিখোঁজ হওয়ার পর ফের সাবমারসিবলের পাইলটের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল এই ডুবোযান পরিচালনাকারী সংস্থাটি। সাবমারসিবলের জন্য পর্যটকদের আহ্বান করার বিজ্ঞাপনটি এখনও সরিয়ে না নেয়ায় নতুন করে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

যদিও তীব্র কটাক্ষের মুখে পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। তবে পর্যটকদের উদ্দেশে দেয়া এই বিজ্ঞাপনটি এখনও দেখা যাচ্ছে ওসানগেটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।

প্রসঙ্গত, পাঁচজন যাত্রী নিয়ে গত ১৮ জুন সকালে টাইটানিকের ১১১ বছরের পুরোনো ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য গভীর সমুদ্রে অভিযানে যায় সাবমারসিবল টাইটানিক। কিন্তু ডুবে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে এটি মূল জাহাজের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। কয়েক দিনব্যাপী অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের পর গত ২২ জুন উদ্ধার করা হয় সেটি।

জানানো হয়, সাগরের গভীরে ভয়াবহ বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয় ডুবোযানটির যাত্রীদের। টাইটানে চড়ে টাইটানিক দেখতে গিয়েছিলেন ডুবোযানটির পরিচালনাকারী সংস্থা ওশানগেটের সিইও স্টকটন রাসম, পাইলট পল-হেনরি নারগোলেট, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ এবং ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং।

এসজেড/

Exit mobile version